চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার জট ছাড়াতে তিন মহিলা তদন্তকারীর কাঁধে দায়িত্ব দিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ঘটনায় এক বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার সত্যি উদঘাটন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মান। এরই মাঝে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল হোস্টেলের দুই ওয়ার্ডেনকে। তাছাড়া আগামী শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, তাঁর প্রেমিক এবং ৩১ বছর বয়সি এখ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয় রবিবার গভীর রাতে। এরপর প্রতিবাদ বন্ধ হয়েছে আপাতত। এরপরই চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস সাসপেন্ড করা হল। পাশাপাশি হোস্টেলের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলের ছাত্রীদের স্নানের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, এই অভিযোগ পুরোপুরি ভুয়ো। চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর ডঃ আরএস বাওয়া এই বিষয়ে বলেন, ‘গুজব রটেছে যে ৭ জন মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে সত্যটি হল যে কোনও মেয়েই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেননি৷ এই ঘটনায় কোনও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।’ এদিকে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর মহালির পুলিশ সুপার বিবেক সোনি দাবি করেন, তারা এখনও কোনও ছাত্রীর স্নানের ভিডিয়ো পাননি। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও ছাত্রীর আম্তহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি। তবে এরপরও বিক্ষোভ থামছিল না ছাত্রীদের। এই আবহে এবার তিন মহিলার কাঁধে এই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল।