এবার বিদেশি বই পড়তে পারবে না চিনের খুদেরা! প্রাথমিক ও ক্লাস দশ অবধি বিদেশি বই পাঠ্যপুস্তক হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না, বলে আদেশ দিয়েছে চিন প্রশাসন। শিক্ষামন্ত্রক এই সার্কুলার জারি করেছে। একই সঙ্গে যেসব লেখক ও সম্পাদকের নৈতিক চরিত্র ভালো না, তাদেরও সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিন সরকার খতিয়ে দেখেছে যে তাদের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও অনেকে বিদেশি বই পড়াচ্ছেন স্কুলে। এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এক মাস ব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল পাঠ্যবই থেকে বিদেশি প্রভাব কমানোর জন্য।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল জীবনের নয় বছর কোনও বিদেশি বই পাঠ্যসূচীর অংশ হবে না। এর ফলে সঠিক রাজনৈতিক দিশা ও আদর্শে ছাত্ররা দীক্ষিত হবে বলে মনে করে চিনা প্রশাসন। যেসব বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে ভাষান্তরিত চিনের প্রকাশকের বই ব্যবহার করতে হবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা হাই স্কুল, কলেজ ও ভোকেশনাল কোর্সের জন্য খাটবে না।
কম্যুনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক আদর্শ অনুসারে পড়ার বই লিখতে হবে, সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার। যাদের লেখা বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তাদেরও ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের ওপর জোর দিয়েছে সরকার।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে পড়ুয়াদের মধ্যে দেশাত্মবোধের ভাব জাগ্রত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। শি নিজেও নানান অনুষ্ঠানে দেশের সঠিক ইতিহাস জানার ওপর জোর দেন। ইতিহাস জানলে দেশভক্তি নিজের থেকেই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি। এই নয়া নিদান সেই লক্ষ্যেই দেওয়া, তা বলা বাহুল্য।