বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > India-China Face-off in Tawang: তাওয়াঙে যোগ্য জবাব! ৩০০ ফৌজি এনেও ভারতকে দেখে হাওয়া টাইট চিনের - রিপোর্ট
প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সংঘাতে ভারতের থেকে বেশি চিনের ফৌজি আহত হয়েছেন বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত যেভাবে প্রস্তুতি ছিল, তাতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিনা সেনা।
অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনা ও চিনা সেনার সংঘাতের আপডেট
- ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে (সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়াংসির কাছে) ভারতের বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল চিনা সেনা। পালটা দিয়েছিল ভারত। সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনার কয়েকজন আহত হয়েছেন।
- সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জনকে নিয়ে এসেছিল চিনা সেনা। কিন্তু ভারতের প্রস্তুতি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিন। ভারত যে এতটা তৈরি থাকবে, তা ভাবতেই পারেনি পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ।
- সংবাদসংস্থা পিটিআই আবার সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই সংঘাতের ঘটনার কাঁটা জড়ানোর গদা, লাঠি নিয়ে এসেছিল। ভারতের তুলনার চিনের বাহিনীতে আহতের সংখ্যা ঢের বেশি ছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে ভারতীয় সেনা বা ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
- সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুক্রবারের সংঘাতের ঘটনা ভারতের যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
- ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার পর চিনা প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন (ফ্ল্যাগ মিটিং) ভারতের এক কমান্ডার। যিনি তাওয়াঙের ওই এলাকার দায়িত্বে আছেন বলে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
- সেইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কয়েকটি এলাকা নিয়ে দু'দেশের ভিন্ন মত আছে। সেখানে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত টহলদারি চালানো হয়। যে ধারা ২০০৬ সাল থেকে চলে আসছে বলে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
- এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফূল বক্সি বলেছেন, 'সেই একই অবস্থান বজায় রেখেছে চিনারা। ওরা আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে। আমরা এখন সতর্ক হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ করেছি। যা চিনারা আশা করতে পারেনি। ওরা আমাদের হালকাভাবে নিচ্ছিল। আমাদের নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবতে হবে। আমাদের আরও দৃঢ় হতে হবে। প্রয়োজনে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলতে হবে আমাদের। ওটাই দরকার।'
পরবর্তী খবর