কেন লাদাখ সীমান্তে চিন বিপুল সংখ্যক লাল ফৌজকে পাঠাল, সেই নিয়ে পাঁচটি ভিন্ন ব্য়াখ্যা দিয়েছে পড়শি দেশ বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। একটি থিংক ট্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনায় তিনি জানালেন যে বেজিং সীমান্তে শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা হলেও মূল বিষয়টি যে এখনও মীমাংশা হয়নি, তাও স্বীকার করে নেন বিদেশমন্ত্রী।
লাদাখে এই নিয়ে আট মাস ধরে চলছে অচলাবস্থা। জয়শংকর বলেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গত ৩০-৪০ বা তার বেশি সময়ে এতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যায়নি। গত ৩০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্কে তৈরি হয়েছিল, সেটা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জয়শংকর বলেন যে দুই দেশ একমত ছিল যে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা হবে, পাশাপাশি চলবে বাউন্ডারি সংক্রান্ত বিবাদ মেটানোর কাজ।
জয়শংকর বলেন যে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে হাজার হাজার সৈন্য নিয়ে প্রকৃত সীমান্ত রেখায় লাল ফৌজ এসে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এতে সম্পর্কে চিড় পড়বে বলে তিনি জানান। জয়শংকর বলেন যে এই নিয়ে চিন পাঁচটি ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। তবে কি যুক্তি দিয়েছে চিন, সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলেন নি তিনি।
জয়শংকর বলেন যে দুই দেশের সেনা যখন সন্মুখ সমরে, তখন কিছু খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এর ফলে জাতীয় ভাবাবেগও পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল, গালওয়ান সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বলেন তিনি।
আলোচনা চলছে কিন্তু সম্পর্ক ফের পুরনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যে খুব শক্ত, সেটাও কার্যত মেনে নেন তিনি। একাধিক কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা ছাড়াও জয়শংকরের সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন ২০০৮-০৯ থেকে চিনে জাতীয়তাবাদের প্রভাব বেড়ে গিয়েছে যেটার প্রভাব পড়েছে বিদেশ নীতিতেও।