মাস তিনেক আগেই সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।এবার কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োজিত করল। তিনি বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরন রিজিজু টুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান মেনে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের পদোন্নতির ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই সুপারিশ করা হয়েছিল। এদিকে এই প্রসঙ্গে একটু পেছন ফিরে তাকানো যাক। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা হয়েছে। এমনকী সুপ্রিম কোর্টের তরফে কিছুটা সমালোচনার সুরেই বলা হয়েছিল কলেজিয়াম নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে না।
বিচারবিভাগে নিয়োগ নিয়ে দেরির কারণ জানাতে বলে সেক্রেটারি(জাস্টিস)কে নোটিশ করে সুপ্রিম কোর্ট গত ১০ নভেম্বর একটি সাবমিশনকে নথিভুক্ত করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল পাঁচ সপ্তাহ আগে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনও নিয়োগের বিষয়গুলি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বিচারপতি এসএস কৌল সেই সময় জানিয়েছিলেন, এই দেরির কারণগুলো বাস্তবিকই আমরা বুঝতে পারছি না।
তবে এবার বিচারপতি দত্তকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হল। আর সেটাও কলেজিয়ামের অনুমোদন মেনেই করা হল। ২০৩০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারপতি দত্তের কার্যকালের মেয়াদ থাকবে।
১৯৬৫ সালে জন্মেছিলেন বিচারপতি দত্ত। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি প্রয়াত সলিল কুমার দত্তের পুত্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি পেয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে। এরপর তিনি অ্য়াডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জুনিয়র স্ট্য়ান্ডিং কাউন্সেল ছিলেন ২০০২ সালের ১৬ মে থেকে ২০০৪ সালের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন ২০০৬ সাল থেকে। পরে ২০২০ সালে তিনি বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি একাধিক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন।