গত ১১ জুন শাহনাওয়াজ খান ওরফে বাড়োকে গ্রেফতার করেছিল গাজিয়াবাদ পুলিশ। গেমিং অ্যাপের মাধ্য়মে সে ধর্মান্তকরণের ফাঁদ পাতত বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্রের থানে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশের কাছে বিস্ফোরক তথ্য় সামনে এসেছে।
শাহনাওয়াজ ওরফে বাড়োর বিরুদ্ধে এবার নাবালকদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ। গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে সে ওই কাজ করত বলে অভিযোগ। তবে এবার সে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে বলে খবর।
হিন্দুস্তানের খবর অনুসারে জেরার দ্বিতীয় দিনে সে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে সে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। সে নাবালকদের ধর্মান্তকরণে চাপ দিত। তার এই স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছে পুলিশ। তবে জেরার প্রথম দিনে সে কিছু স্বীকার করতে চাইছিল না। এদিকে শনিবার জেরার দ্বিতীয় দিনে তার ইনস্টাগ্রাম চ্যাটগুলি তাকে দেখানো হয়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এসব দেখে কিছুক্ষণ চুপ করেছিল সে। এরপর সে স্বীকার করে নেয় তার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ ছিল।
এদিকে পুলিশ পাকিস্তানে বসবাসকারী আকা ও তার সহযোগীদের সম্পর্কে জানতে চায়। তবে এনিয়ে সে কিছু জানায়নি। সে জানিয়েছে যাদের সঙ্গে সে চ্যাট করত তাদের সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল। একটি চ্যাটিংয়ে সে উল্লেখ করেছে, ভারতকে সে ঘৃণা করে। একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে ঘৃণা করে বলেও জেরায় সে জানিয়েছে বলে খবর।
মূলত ধর্মান্তকরণ নিয়ে তাদের মধ্য়ে আলোচনা হত। এদিকে বড়ো পাকিস্তানে থাকা সংখ্য়ালঘুদের ধর্মান্তকরণ করার চেষ্টা করত বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাকির নায়েকের ফ্যান হল এই শাহনাওয়াজ। সে জাকিরের ভিডিয়োতে একেবারে ডুবে থাকত। একাধিক নাম ব্যবহার করত সে। যেমন শাহনাওয়াজ মকসুদ খান, শানু, রিদান, বেড-ও।
হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে. পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, জেরাতে শাহনাওয়াজ পাকিস্তানি যোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পাকিস্তানিদের সঙ্গে নিয়ে সে গ্রুপ তৈরি করছিল। তাকে জেরা করা চলছে।
তার সম্পর্কে মূল অভিযোগগুলি হল যে মেল আইডিগুলি পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে ৬টি পাকিস্তানে তৈরি। পাকিস্তানের ট্রাফিক কনস্টেবলের আই কার্ড তার কাছ থেকে মিলেছে। ২০১৩ সালে তার মেল আইডিতে একাধিক আপত্তিকর মেসেজ এসেছিল। ধর্মান্তকরণের জন্য সে নাবালকদের নানা ব্রেন ওয়াশ করত।