মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতিকে অন্যের সন্তান দেওয়ার অভিযোগে আইভিএফ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ সন্তান কোলে আসার কয়েক মাস পরে ওই দম্পতি জানতে পারেন সন্তান আসলে তাঁদের নয়৷ ডিএনএ টেস্ট না করালে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই দম্পতি জানতেই পারতেন না যে, ভ্রূণ অদলবদলের কারণে অন্যের সন্তান চলে এসেছে তাঁদের কোলে৷
ডাফনা কার্ডিনালে আর তাঁর স্বামী আলেকজান্ডার কার্ডিনালে শিশু সন্তান নিয়ে নিশ্চিন্তে ক্লিনিক থেকে ফিরেছিলেন বাড়িতে৷ মাসতিনেক পর একদিন চোখে পড়লে, তাঁদের সন্তানের চুল কুচকুচে কালো আর গায়ের রংটাও তাঁদের পরিবারের কারো সঙ্গেই মেলে না৷ ততদিনে সন্তানের মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছেন বাবা-মা৷ মনে সন্দেহ উঁকি দিলেও ডাফনা আর আলেকজান্ডারতাই চেয়েছিলেন বিষয়টা চেপে যেতে৷ কিন্তু মনে সংশয় থেকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ডিএনএ টেস্ট করালেন এবং তাতেই বেরিয়ে এলে প্রকৃত তথ্য৷ আরেও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আসলে অন্যের সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তাঁরা৷ তবে ভুলটা হয়েছিল আরও আগে৷ ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) প্রক্রিয়ায় সন্তানের মা হতে ডাফনা যে ক্লিনিকে গিয়েছিলেন, সেই ক্লিনিকের এক ডাক্তার দুটি ল্যাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ সে কারণেই প্রথমে ভ্রূণ অদলবদল এবং পরিণামে গর্ভ এবং সন্তান অদলবদল৷
শেষপর্যন্ত খুব কষ্ট হলেও ডাফনা অবশ্য বড় করতে গিয়ে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে পড়া শিশুটিকে ‘প্রকৃত' মায়ের কোলে তুলে দিয়েছেন৷ সেই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া নিজের সন্তানকেও নিয়ে এসেছেন৷ পাশাপাশি সেই ডাক্তার এবং তার লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়া সেন্টার ফর রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ (সিসিআরএইচ)-এর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ডাফনা-আলেকজান্ডার দম্পতি৷ অন্য দম্পতি আপাতত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক৷ তবে সিসিআরএইচয়ের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তাঁরাও৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)