বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এই অবস্থায় প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন-অভিযোগ দফতরের সমস্ত কর্মী এবং আধিকারিকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। যে দফতর কর্মীবর্গ, জন-অভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রকের আওতায় রয়েছে।
নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে, দেখে নিন -
১) শুধুমাত্র উপসর্গহীন কর্মীদের অফিসে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। যে কর্মীদের হালকা ঠান্ডা, কাশি বা জ্বর আছে, তাঁদের বাড়িতে থাকতে হবে।
২) যে কর্মীদের বাড়ি কনটেনমেন্ট জোনে, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে বাড়ি থেকে কাজ করবেন।
৩) একদিনে সর্বোচ্চ ২০ জন কর্মী এবং আধিকারিক অফিসে আসতে পারবেন। সেরকমভাবেই রোস্টার তৈরি করতে হবে।
৪) সচিব বা সহ-সচিবের অধীনে যাঁরা একটি কেবিন শেয়ার করেন, তাঁরা বিকল্প দিনে অফিস আসবেন।
৫) অফিসের মধ্যে সর্বক্ষণ মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পরে থাকতে হবে। নাহলে শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ করা হবে।
৬) ব্যবহৃত মাস্ক এবং গ্লাভস শুধুমাত্র বায়ো-মেডিক্যাল আবর্জনার জায়গায় ফেলতে হবে। খোলা জায়গায় ফেললে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
৭) যথাসম্ভব মুখোমুখি বৈঠক বা আলোচনা বা আলাপচারিতা এড়িয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মীরা ইন্টারকম, ফোন বা ভিডিয়ো কনফারেন্সের সাহায্য নিতে পারেন।
৮) সংক্রমণ রুখতে ৩০ মিনিট অন্তর হাত ধুতে হবে। করিডরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকতে হবে।
৯) সুইচ, দরজা, লিফটের বোতাম, হাতলের মতো যে জিনিসগুলি বারবার ধরা হয়, প্রতি ঘণ্টায় সেগুলি পরিষ্কার করতে হবে।
১০) শুধুমাত্র ইথানল বেস জীবাণুনাশক দিয়ে কর্মীদের কি-বোর্ড, মাউস, এসির রিমোটের ব্যক্তিগত সামগ্রী পরিষ্কার করতে হবে।
১১) বসার বা হাঁটার সময় কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অফিসের কেবিনে অতিথিদের চেয়ার সাজানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে।
যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য কর্মীদের আর্জিও জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'কোনও শিথিলতা ছাড়া সব আধিকারিক এবং কর্মীদের এই নির্দেশগুলি মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে।'
প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন-অভিযোগ দফতরের কর্মীদের জন্যই শুধুমাত্র সেই নির্দেশিকা জারি করা হলেও বিভ্রান্তি ছড়ায়। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, সকল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর জন্যই সেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেজন্য প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তথ্য যাচাইকারী টুইটার হ্যান্ডেলের তরফে @PIBFactCheck জানানো হয়, সেই নির্দেশিকা শুধুমাত্র প্রশাসনিক সংস্কার এবং জন-অভিযোগ দফতরের কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য।