করোনা রোধে দেশব্যাপী একুশ দিনের লকডাউন চলছে। তবে এই লকডাউন থেকে ছাড় পেয়েছে কৃষিকাজ। চাষ-আবাদ করার ওপর কোনও মানা নেই বলেই কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এতে উপকৃত হবেন দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ যারা চাষের মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
কেন্দ্রের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানিয়েছেন অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে এখন কৃষিকাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার যে আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তাতে চাষ-আবাদকে অত্যাবশক পরিষেবার মধ্যে রাখা হয়নি। তার জেরে ছড়ায় বিভ্রান্তি। তিন সপ্তাহ চাষীরা ফসল না ফলালে শস্যভাণ্ডারের ওপর চাপ বাড়বে, এমনও বলেন অনেক। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্টীকরণে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন সবাই।
কেন্দ্র জানিয়েছে চাষীরা বীজ বপন করতে পারবেন, ফসল কাটতেও পারবেন। কীটনাশক ও সার বিক্রি করে যে দোকানগুলি, সেগুলি খোলা থাকতে পারবে। সব্জি মান্ডিগুলিও খোলা থাকবে যেখানে এসে নিজেদের মাল বিক্রি করেন চাষীরা। এ ছাড়াও ফুড এগ্রিগেটার, কমিশন এজেন্ট, হোলসেল বিক্রেতাদের এই লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কোটি কোটি চাষী নিজেদের কাজ করতে পারবেন, পুলিশ আটকাতে পারবে না। তবে চাষীরা যাতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখেন করোনা মহামারী ছড়ানো থেকে রুখতে, তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির ওপর চাপিয়েছে কেন্দ্র।
১৪ এপ্রিল অবধি চলবে লকডাউন। দেশে এখনও করোনায় আক্রান্ত ৮৭৩, মারা গিয়েছেন ১৯জন।