গোটা বিশ্বজুড়ে কার্যত সংহারে মেতে উঠেছে করোনা। ওমিক্রন নির্ভর এই প্রবল দাপুটে ভাইরাসের স্রোতের জেরে বর্তমানে একাধিক দেশ উদ্বেগে রয়েছে। ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্ট। করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামক ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে সুইডেনের কয়েকজন গবেষক আবিষ্কার করেছেন এমন একটি জিন, যা কোভিডের ভয়াবহতা ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, কোভিড কাউকে বেশি কাবু করছে, কাউকে বা কম। ডেল্টা হোক বা ওমিক্রন, করোনা ভ্যারিয়েন্টের এক একটি রূপ নতুন নতুন ত্রাস সঞ্চার করছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক থেকে গবেষকরাও এই ভাইাসকে ঘিরে বেশ খানিকটা বিভ্রান্ত। এদিকে, 'ডেইলি মেল' এৎ খবর অনুযায়ী, সুইডেনের কয়েকজন গবেষক আবিষ্কার করেছেন এমন এক জিন যা করোনার তীব্রতা ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে।
ওই গবেষণা বলছে, কোভিড কিছু কিছু মানুষকে অন্যের তুলনায় বেশি আক্রমণ করে। গবেষকরা বলছেন, তাঁদের এই নতুন আবিষ্কার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে। ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার নিরিখে এই নয়া জিন তাৎপর্যবাহী বলেও তাঁদের দাবি। জিন বলে দিতে পারে শরীরকে যে এমন এক প্রোটিন তৈরি করতে যা সার্স সিওভি -২ কে দমন করতে পারে। এই ভাইরাসই কোভিডের সঞ্চার করছে। বলা হচ্ছে, জিনের ওপর নির্ভর করবে প্রোটিন ওএএস-ওয়ানের দৈর্ঘ। যা সার্স সিওভিকে দমন করতে পারে। উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে জিনের ধরন পাল্টে যায়। বলা হচ্ছে, এই জিন শ্বেতাঙ্গ ইউরোপিয়দের তিন জনের মধ্যে একজনের থাকে, আর আফ্রিকায় ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের থাকে। বলা হচ্ছে, জিনের এই ভিন্নতার জন্যই কারোর শরীরে কোভিড বেশি তীব্রতায় হামলা করে, আবার কারোর শরীরে কম তীব্রতায় হানা দেয় এই মারণ ভাইরাস।