হ্যাকারদের নাগালে এবার ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্যোগে তৈরি কোভিড প্রতিষেধক সম্পর্কিত নথি। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি-র (ইএমএ) কাছে রাখা কোভিড ভ্যাক্সিন সংক্রান্ত তথ্যভাণ্ডারের নাগাল পেয়েছে সাইবার দস্যুরা।
তাদের তৈরি ভ্যাক্সিন সংক্রান্ত নথি হ্যাক হওয়ার কথা স্বীকার করেছে বায়োএনটেক সংস্থাও। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘আজ আমরা জানতে পেরেছি, ইএমএ হ্যাকারের খপ্পরে পড়েছে সংস্থার সার্ভারে সংরক্ষিত ফাইজার ও বায়োএনটেক-এর তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন BNT162b2 উৎপাদন সংক্রান্ত আবশ্যিক নথি। তবে তার ফলে ওই টিকা উৎপাদনের নির্ধারিত সময়ের উপরে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছে ইএমএ।’
আক্রান্ত নথিপত্রের মধ্যে কোভিড ভ্যাক্সিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্যাদি আছে কি না, সে সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, সমগ্র ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানে ওষুধ ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ইএমএ। ব্রিটেনে সদ্য চালু হওয়া ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত কোভিড ভ্যাক্সিন এবং মডার্না সংস্থা উৎপাদিত কোভি ভ্যাক্সিন ইউরোপীয় দেশগুলিতে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি না, বর্তমানে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইএমএ। হ্যাকার হানার খপ্পরে মডার্না-র ভ্যাক্সিন সম্পর্কিত নথিপত্র রয়েছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।
গত কয়েক মাসে কোভিড প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন উৎপাদনে জড়িত একাধিক সংস্থার উপরে হ্যাকার হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। গদত গ্রীষ্মে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানায়, টিকা উৎপাদনে জড়িত সংস্থাগুলিকে নিশানা করেছে রাশিয়ান গুপ্তচর সংস্থা। উল্লেখ্য, সেই সময় রাশিয়া স্বয়ং কোভিড প্রতিষেধক তৈরির ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল।
গত অক্টোবর মাসে কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনে নিয়োজিত এক ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধেও সক্রিয় হয়েছিল সাইবার দস্যুরা। তা ছাড়া, সম্প্রতি আইবিএম জানিয়েছে, কোভিড ভ্যাক্সিন সরবরাহের কাজে অন্তর্ভুক্ত কোল্ড চেন বিশেষ কোনও দেশের হ্যাকারদের পাল্লায় পড়েছে।
ইউরোপে ভ্যাক্সিন চালু সংক্রান্ত বিষয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে বিবৃতি প্রকাশের আগেই ইএমএ তথ্যভাণ্ডারে হ্যাকার হানা স্বাভাবিক ভাবেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।