ভারতে শুরু হল কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। দেশের ২২ টি জায়গায় ২৬,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছেন। সোমবার এমনটাই জানালেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃ্ষ্ণা এল্লা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) - ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির (এনআইভি) সঙ্গে যৌথভাবে সম্ভাব্য টিকা তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। একটি বিবৃতিতে ভারত বায়োটেকের তরফে বলা হয়, ‘তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভারতে ২৬,০০০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ভারতে কোভিড ১৯-এর টিকার জন্য যে ট্রায়াল চালানো হয়েছে, তার মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ ক্লিনিকাল ট্রায়াল। কোভিড ১৯-র টিকার প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার পরীক্ষা এবং ভারতে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় তৃতীয় পর্যায়ের কার্যকারিতার পরীক্ষা এটি।’
করোনাভাইরাস টিকা সংক্রান্ত খবর দেখুন
ক্লিনিকাল ট্রায়ালস রেজিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ার অধীনে নথিভুক্ত হয়েছে এই ট্রায়াল। তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই)। ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, মোটামুটি ২৮ দিনের ব্যবধানে স্বেচ্ছাসেবকদের পেশিতে দুটি ইনজেকশন দেওয়া হবে। এলোমেলোভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের বেছে নিয়ে কোভ্যাক্সিন বা প্লাসেবো দেওয়া হবে। এমনভাবে বণ্টন করা হবে, যাতে স্বেচ্ছাসেবক, তদন্তকারী আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট জানবে না যে কে কোন দলে আছে। ১,০০০ ‘সাবজেক্ট’-এর উপর কোভ্যাক্সিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালানো হয়েছে। তাতে সুরক্ষা এবং অনাক্রম্যতা সংক্রান্ত যে তথ্য মিলেছে, তা আশাব্যঞ্জক বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক। স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স ১৮-র উর্ধ্বে।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাকে স্প্রে করে দেওয়ার মতো করোনা টিকাও তৈরি করা হচ্ছে। যা আগামী বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যেতে পারে।