উৎকর্ষ আনন্দ এবং আব্রাহাম থমাস
আক্রান্ত হওয়ার দু'তিনমাসের মধ্যে মারা গেলে তাঁকে করোনাভাইরাসে মৃত বলে বিবেচনা করতে হবে। বুধবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারির ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে সেই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যেভাবে করোনায় মৃতদের নথিভুক্ত করে, তা নিয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী রিপক কনসাল এবং গৌরব কুমার বনশল। সেই দুই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানায়, অন্য কোনও জটিলতার কারণেও করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেন্দ্র এনং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) জারি করা নির্দেশিকায় সেই বিষয়টি নিয়ে ঠিকভাবে আলোচনা করা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে করোনায় মৃতদের পরিবারকে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে ‘সরলীকৃত পদ্ধতি বা নির্দেশিকা’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই নথিতে মৃত্যুর আসল কারণকে ‘কোভিড-১৯-এর কারণে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করতে বলা হয়।
বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দু'তিনমাসের মধ্যে মারা যান, তাহলে মৃতের পরিবারকে যে ডেথ সার্টিফিকেট বা সরকারি নথি দেওয়া হবে, তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিড-১৯-এ মৃত বলে জানাতে হবে। অন্যান্য কোনও জটিলতার কারণে মৃত্যু হলেও (মৃত্যুর কারণ হিসেবে) করোনাই লিখতে হবে।’
আপাতত ১৯৬৯ সালের জন্ম এবং মৃত্যু আইনের ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ লেখা থাকে না। সেই পরিস্থিতিতে যে পরিবারগুলি ইতিমধ্যে ডেথ সার্টিফিকেটে পেয়ে গিয়েছে এবং মৃত্যুর কারণ ঠিক করে নিতে চায়, তাদের জন্যও নির্দেশিকায় উপযুক্ত সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, মৃত্যুর প্রকৃত উল্লেখ করে ডেথ সার্টিফিকেট জারি করা প্রত্যেক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। যাতে যাঁরা করোনায় মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার কোনও প্রকল্পের সুযোগ পেতে গিয়ে কোনওরকম সমস্যার মুখোমুখি না হয়। যে প্রকল্পগুলি করোনায় মৃতদের জন্য চালু করতে পারে সরকার।