সাধারণত রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রায়ই চিকিৎসক এবং হাসপাতাল বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে থাকেন রোগী পরিবারের সদস্যরা। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এবার মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। পঞ্জাবের গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা রোগীর আত্মীয়কে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা রোগী পরিবারের দুই বয়স্ক সদস্যকে মারধর করছে।
আরও পড়ুন: ডায়ালিসিস চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, মৃত্যু রোগীর, গাফিলতির অভিযোগ
১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা রোগীর পরিবারকে লাঞ্ছিত করছে। ভিডিয়ো দেখা যায়, নিরাপত্তা কর্মীরা রোগীর আত্মীয়দের ধাক্কাধাক্কি করছে এবং চড়, কিল, ঘুষি মারছে। যদিও মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালে সুপার ডা. শিলেখ মিত্তাল। তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় পারভিন নামে একজন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রোগীর অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল। ফলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁর আত্মীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপে ঝগড়া থামে।’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা সম্পর্কে আরও বিশদ বিবরণ এবং যে কারণে এই ঝামেলা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
মৃত রোগীর ছেলে সুরেশ কুমারের অভিযোগ, তাঁর মায়ের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে রোগীর আধঘণ্টা ধরে কোনও চিকিৎসায় করা হয়নি। ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। সেই কারণেই চিকিৎসকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন রোগী পরিবারের সদস্যরা। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুতে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি গোয়ালিয়রের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান। এই ঘটনার জেরে রোগীর পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। যার ফলে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল মারপিট হয়।