চিনা মাঞ্জায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এবার আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে দুর্ঘটনায় রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সেখানে ধারালো সুতো বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লির আপ সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রায় একটি বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন। সামনেই রাখি বন্ধন, স্বাধীনতা দিবস এবং বিশ্বকর্মা পুজো রয়েছে। এই সমস্ত উৎসব গুলিতে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ করেছে দিল্লির সরকার।
আরও পড়ুন: ফের চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনা ‘মা উড়ালপুলে’, মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলেন মহিলা
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর দিল্লিতে রাখি বন্ধন উৎসবে চিনা মাঞ্জায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ করেছে দিল্লি সরকার। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী জানান, উৎসবের দিনগুলিতে ধারালো সুতো বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষকেও এই ধরনের সুতো ব্যবহার না করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মানা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে কেউ চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই অপরাধে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও তিনি জানান। অথবা জেল ও জরিমানা দুটোই হতে পারে।
স্বাধীনতা দিবস, রাখি বন্ধন, বিশ্বকর্মা পুজোয় অনেকে ঘুড়ির লড়াইয়ে মেতে ওঠেন। সে ক্ষেত্রে অনেকেই চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করে থাকেন। আর তাতেই ঘটে বিপদ। তাই বিপদ এড়াতে কড়া পদক্ষেপ করল দিল্লি সরকার। যদিও দিল্লিতে ২০১৭ সালে চিনা মাঞ্জায় ব্যবহার এবং বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই ধরনের সুতো বিক্রি এবং ব্যবহার করতে প্রায়ই দেখা যায়। এবার উৎসবের মুখে সেই নিষেধাজ্ঞার কথা আরও একবার করিয়ে দিল দিল্লি সরকার।
যদিও অতীতে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে চিনা মাঞ্জা ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। গত বছর দীপাবলিতে দূষণ রাখার জন্য শব্দ বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লি সরকার। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছেও আর্জি জানিয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়েছিলেন বহু মানুষ। যার ফলে দীপাবলীর পরের দিন এক ধাক্কায় দিল্লির দূষণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এর জন্য দিল্লির মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কেজিরিওয়াল। তবে চিনা মাঞ্জা ব্যবহার নিয়ে মানুষ কতটা সরকারের আদেশ মানবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।