প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিগ্রি সার্টিফিকেট নিয়ে যে মামলা সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যে মামলা দায়ের করেছিল, তার শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার আর্জি খারিজ হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। এর আগে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন দিল্লি হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়, যাতে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নথি তদন্ত করে দেখা হয়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে কলা বিভাগে স্নাতক পাশ করেন। এই মামলায় সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। তারপর থেকে বিভিন্ন কারণে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যেতে থাকে। কখনও বিচারপতিদের রস্টারে পরিবর্তন, কখনও অন্যান্য কারণে শুনানি পিছিয়ে যায়। এই মামলায় সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশকে সামনে রেখে আবেদনকারী নীরজ কুমার মামলার শুনানি এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। গত অক্টোবরে বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ বলেন, ‘আমার থেকে নিয়ে নিন এই মামলা, তখনই এটার নিষ্পত্তি হবে, যদি আমা রস্টারে থাকি।’ এদিকে, আবেদনকারী নীরজ কুমার চেয়েছিলেন ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচের পড়ুয়াদের তথ্য। আর তা চেয়েছিলেন তথ্য জানবার অধিকার আইনের আওতায়। ওই বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন নীরজ। এরপর সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশ সামনে আসে। ২০১৭ সালে এই মামলায় সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কোর্টকে জানান, সেই ব্যাচে কোন পড়ুয়ারা ছিলেন বা কারা উত্তীর্ণ হননি, তার তথ্য জানাতে পিছপা নয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে পড়ুয়াদের ফলাফল, মার্কস, রোল নম্বর পেশ করতে পারেনা বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, এই তথ্যগুলি বাইরে আনা আইনত বিরুদ্ধ।
এদিকে, মার্চ মাসে মোদীর ডিগ্রি সংক্রান্ত আরও এক মামলায় গুজরাট হাইকোর্ট বড় পদক্ষেপ করে। সেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি মামলা করেছেন। আর সেই মামলার নিরিখে সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশনের নির্দেশকে সরিয়ে রেখে ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিলকে মান্যতা দিয়েছে ও কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্টের মামলা কোনপথে যায়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।