বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Court on Virginity Test: 'সত্য খোঁজার নামে' অভিযুক্ত মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

Court on Virginity Test: 'সত্য খোঁজার নামে' অভিযুক্ত মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা অসাংবিধানিক, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

সমন জারি করা কোনও ‘ঠুনকো আনুষ্ঠানিকতা’ নয়, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

১৯৯২ সালের ২৭ মার্চের সেই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে মনে করেছিল কেরল পুলিশ। ২০ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ ওই সন্ন্যাসিনী কীভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। এরপর অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে সিস্টার সেফির নাম। মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তের ভার্জিনিটি টেস্ট হয়।

কোনও অভিযুক্ত বা আটক হওয়া মহিলার কুমারীত্ব পরীক্ষা 'অমানবিক' বলে এদিন জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। এই ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলেও জানায় কোর্ট। দিল্লি হাইকোর্ট তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে, তদন্তের মধ্যে ‘সত্য উদ্ঘাটনের নামে’ কোনও অভিযুক্ত বা আটক হওয়া মহিলার ভার্জিনিটি টেস্টে কুমারীত্ব যাচাই করার পদক্ষেপ অংসবিধানিক।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে সিস্টার অভয়া হত্যা মামলা ঘিরে সিস্টার সেফির ভার্জিনিটি টেস্টের ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলা ওঠে দিল্লি হাইকোর্টে। মামলার রায় দেওয়ার সময় কোর্ট তার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ পেশ করে। মামলার রায় দেন বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা। বিচারপতি জানান, এমন পরিস্থিতিতে এই টেস্ট সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ এর বিধিকে লঙ্ঘন করছে। তিনি বলেন,'অভিযোগের জেরে সত্য পর্যন্ত পৌঁছানোর নামে তাঁর অনুচ্ছেদ ২১ এর অধিকারকে লঙ্ঘন করে।' যে বিধিতে বলা হয়েছে ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা। কোর্ট জানায় এরফলে সিস্টার সেফির মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সিস্টার সেফির বিরুদ্ধে যে ফৌজদারী মামলা চলছে তা শেষ হলে যাতে তিনি এই টেস্টের নিরিখে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারেন, তার অধিকার দিয়েছে কোর্ট। প্রসঙ্গত, কেরলের কোট্টায়ামে ১৯৯২ সালে খুন হন সিস্টার অভয়া নামে এক সন্ন্যাসিনী। তাঁর দেহ, সেখানের সেন্ট পায়াস টেন্থ কনভেন্টের কুয়ো থেকে পাওয়া যায়।

১৯৯২ সালের ২৭ মার্চের সেই ঘটনাকে প্রথমে আত্মহত্যা বলে মনে করেছিল কেরল পুলিশ। ২০ বছর বয়সী শিক্ষানবিশ ওই সন্ন্যাসিনী কীভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। এরপর অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে সিস্টার সেফির নাম। মামলা  যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তের ভার্জিনিটি টেস্ট হয়। দেখা যায়, সন্ন্যাসিনী হওয়া সত্ত্বেও সেফি কুমারী নন। তদন্তে জানা যায়, ফাদার কোট্টুর সঙ্গে তাঁর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তা অভয়া জানতে পেরে যান। প্রশ্ন ওঠে, মুখ বন্ধ করতেই কি তাহলে হত্যা? চলে তদন্ত। সেই সময় সিস্টার সেফির ওপর চলা ভার্জিটিনিটি টেস্ট নিয়ে পর্যবেক্ষণ পেশ করে কোর্ট।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

বন্ধ করুন