বুল্লি বাই অ্যাপ কাণ্ডে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে অসম থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের IFSO স্পেশাল সেল। মামলায় এই নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হল। ভার্চুয়াল নিলামের জন্য সম্মতি ছাড়াই বুল্লি বাই অ্যাপটিতে বেশ কয়েক জন মুসলিম মহিলার বিকৃত ছবি আপলোড করা হয়েছিল। এই মহিলাদের ‘নিলাম’ করতে এই অ্যাপটি তৈরি হয়েছিল। দিল্লির এক সাংবাদিকের ছবি এই অ্যাপে দেখা গেলে তিনি সরব হন। পুলিশে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। এরপরই পরপর গ্রেফতারি শুরু হয়।
জানা গিয়েছে ধৃত যুবকের নাম নীরজ বিষ্ণোই। ২১ বছর বয়সী নীরজ ভোপালে অবস্থিত ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসের পড়ুয়া। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে নীরজ। পুলিশ জানিয়েছে গিটহাবে বুল্লি বাই অ্যাপটি তৈরির পরিকল্পনা এই নীরজেরই। নীরজই এই অ্যাপটি তৈরি করেছে।
এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরাখণ্ড থেকে ১৮ বছর বয়সী শ্বেতা সিংকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ দাবি করেছিল, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হল শ্বেতা। ঘটনায় শ্বেতার বন্ধু ২০ বছর বয়সী ময়ঙ্ক রাওয়াতকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে বেঙ্গালুরু থেকে বিশাল কুমার ঝা নামক এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিকে এদিনই @giyu44 নামক টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে দাবি করা হয়েছিল, ঘটনায় ধৃত কেউই আসল মাস্টারমাইন্ড নয়। ধৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবিও করা হয়। জানা যায়, এই টুইটার ব্যবহারকারী নেপালের। সেই টুইটার ব্যবহারকারী দাবি করে, তাকে পরিবহণের অর্থ দিলে সে নিজে এসে আত্মসমর্পণ করবে। পাশাপাশি সে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ধৃতদের না ছাড়া হলে বুল্লি বাই ২.০ তৈরি করা হবে।