দেওঘর জুড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনার জেরে চারিদিকে স্বজনহারার আর্তনাদ ও কান্নার মাঝেই বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসছে পান্নালালের কথা। দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনার আঁচ করতে পেরেই তিনি যেভাবে পর্যটকদের উদ্ধার করেন, তাতে আপাতত দেওঘরবাসীর কাছে পেয়েছেন 'হিরো'র তকমা। আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সম্মান জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
কোনও ফিল্মের দৃশ্যের থেকে কম নয় এই ঘটনা। চিত্রকূট পাহাড়ের রোপওয়েতে মেরামতির কাজ করেন পান্নালাল। দেওঘরের রোপওয়ে দুর্ঘটনার দিন সেখানে হাজির ছিলেন পান্নালাল। দুর্ঘটনার আগে ঘরঘর শব্দ পেতেই তিনি টের পান আসন্ন পরিস্থিতির। কাল বিলম্ব না করে দু' তিনটে ট্রলি পেরিয়ে,যে ট্রলিগুলিতে পর্যটকরা ছিলেন তার কাছে পৌঁছে যান পান্নালাল। নিরাপদে ট্রলি থেকে পর্যটকদের নামিয়ে আনেন তিনি। এই কাজে গ্রামবাসীদেরও সহায়তা পান তিনি। দশ পর্যটককে এভাবে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন বাস্তবের 'নায়ক' পান্নালাল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, কাল বিলম্ব না করে পান্নালাল সামনে থাকা মানুষগুলির জীবন বাঁচানো ছাড়া আর কিছু ভেবে উঠতে পারেননি তখন। আরও পড়ুন-'আমার যখন ১০ বছর বয়স...' ছোটবেলা থেকে কূটনীতিবিদ হতে চাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে মুখ খুললেন জয়শঙ্কর
এহেন পান্নালাল, বলছেন, রোপওয়ে মেরামতির কাজের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজের প্রশিক্ষণও তিনি পেয়েছিলেন। আর যা এককালে শিখেছিলেন তাই কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন তিনি। মাঝবয়সী ছিপছিপে গড়নের এই ব্যক্তিকে এদিন সম্মানিত করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। পুরস্কার স্বরূপ দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলের দুর্ঘটনার সময় পঞ্চাশের বেশি পর্যটককে নিয়ে শূণ্যে ঝুলতে থাকে ট্রলিগুলি। আর দুর্ঘটনা টের পেতেই চেয়ারে দড়ি বেঁধে প্রায় ৬ জন পর্যটককে উদ্ধার করেন পান্নালাল।