প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা বিতর্ক রয়েছে তাঁর সম্পর্কে। তবে তাঁকেই ফের এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। এনিয়ে চতুর্থবার তাঁকে এই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য় নমিনেটেড করা হল। রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধি ক্লডিয়া টেনি, ট্রাম্পের নামকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য় প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর একাধিক পদক্ষেপের জন্য এই পুরস্কার পাওয়ার তিনি যোগ্য বলে তিনি( ক্লডিয়া টেনি) উল্লেখ করেছেন।
টেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।
মূলত আব্রাহাম চুক্তির জন্যই তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হচ্ছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই চুক্তি হয়েছিল। এটা মূলত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহারিন ও ইজরায়েলের মধ্য়ে এই শান্তি চুক্তি করা হয়েছিল।
এদিকে একটি বিবৃতিতে টেনির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৩০ বছর ধরে মধ্য়প্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন। দশকের পর দশক ধরে আমলা, বিদেশি নীতি সংক্রান্ত পেশাদারীরা, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি বার বার দাবি করছিলেন ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্য়ে সমস্যা না মেটা পর্যন্ত মধ্য়প্রাচ্যে শান্তি রক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুক্তিকে কার্যত মিথ্য়ে বলে প্রমাণিত করেছেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন কীভাবে মধ্য়প্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হয়। এমনটাই দাবি করেছেন টেনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধির দাবি, বর্তমানে যিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রয়েছেন সেই জো বাইডেন অত্যন্ত দুর্বল নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগে কোনওদিন এমনটা হয়নি। জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক আঙিনায় আমাদের দেশের সামনে আতঙ্কের ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পেরে নিজে সম্মানিত বোধ করছি। সেই সঙ্গেই এই পুরস্কার পাওয়ার তিনি যোগ্য।
তবে এবারই প্রথম নয়, আব্রাহাম চুক্তির জন্য তিনি এর আগেও মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তিনি এই পুরস্কার পাননি। এর আগে ২০২০ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য খ্রীষ্টিয়ান টাইব্রিং জেড্ডে এই পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম মনোনীত করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল ট্রাম্প ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মধ্যে শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।