সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ আছে। এবার পদোন্নতির ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ চালু হবে। আর এর জন্য প্রথম পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, এসসি এবং এসটি (তফসিলি জাতি ও উপজাতি) সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। মনে করা হচ্ছে সংকরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এটাই প্রথম ধাপ।
এর আগে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত রদ করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানে কেন্দ্রের তরফে একটি হলফনামা জারি করে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও উপজাতি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রথা রদ করে দিলে কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা ও ক্ষোভ তৈরি হবে। তাছাড়া পদোন্নতির ক্ষএত্রে সংরক্ষণ নীতি জারি রাখতে সংবিধান এবং আদালতের বেঁধে দেওয়া নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।’ অবশ্য পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিষয়ে শীর্ষ আধালত হস্তক্ষেপ করবে না বলে আগে জানিয়েছিল।
এই আবহে ছয় বছরে প্রথমবার সংরক্ষণের প্রেক্ষিতে পদোন্নতি করতে এসসি এবং এসটির তথ্য সংগ্রহ করছে কেন্দ্র। কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ এই মর্মে গত ১২ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে শাসক দল বিজেপির অন্যতম ‘ভোট ব্যাঙ্ক’-এ পরিণ হয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতির লোকেরা। এই আবহে সংরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতির বিষয়ি নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের সরকারি চাকরিতে যথাক্রমে ১৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে এবং একসাথে দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও বেশি এরা। এই আবহে সংরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্র।