'শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞানের আনন্দকে মাটি করে দেয়।' এমনই দাবি করলেন ভাটনগর পুরস্কারপ্রাপ্ত ডঃ অনিশ ঘোষ। চলতি বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পান ১১ জন বিজ্ঞানী। ৪৫ বছরের কমবয়সী কৃতি বিজ্ঞানীদের এই সম্মান দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ৪ জন বাঙালি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অনিশ ঘোষ। গাণিতিক বিজ্ঞান বিভাগে পুরস্কার পান অনিশ ঘোষ। ডঃ অনিশ ঘোষ, মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের স্কুল অফ ম্যাথেমাটিক্সে রয়েছেন। এরগোডিক তত্ত্ব, লাই গ্রুপস এবং সংখ্যা তত্ত্বের উপর কাজ করেন তিনি।
ডঃ অনিশ ঘোষ বলেন, 'এটা আমার জন্য একটি বড় সম্মান। এটি শুধু আমার কাজ নয়, আমার আশেপাশের সকলের - আমার পরিবার, শিক্ষক, পরামর্শদাতা, সহযোগী এবং আমার পরামর্শদাতাদের বিশাল অবদানকে স্বীকৃতি। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারের সাথে আমার গবেষণাকে স্বীকৃতি দেওয়ায় এটি আমাকে আরও উৎসাহিত করে তুলবে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে প্রকৃতির গভীরে থাকা গণিতের রহস্য উদঘাটনের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে পারব। আমি দেশের তরুণদের মধ্যে গণিত এবং বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং তাদের বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
তিনি আরও বলেন, 'বিজ্ঞানে উত্সাহী তরুণদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, বিজ্ঞান মজাদার, উত্তেজনাপূর্ণ। কখনও কখনও, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিজ্ঞানের আনন্দকে মাটি করে দেয়। গণিত একটি শিল্প। আমি বিজ্ঞানে উৎসাহী সব বয়সীদের উন্মুক্ত, অনুসন্ধিৎসু হতে উৎসাহিত করব।'