ডঃ কাফিল খানকে শেষ পর্যন্ত চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গোরক্ষপুর বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছিল ৬৩জন শিশুর। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কাফিল খানের। তাকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। মুখ্য সচিব( মেডিক্যাল শিক্ষা) অলোক কুমার জানিয়েছেন. তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ডঃ খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে উত্তরপ্রদেশ সরকার তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। কমিশন ডঃ খানের চাকরি থেকে বরখাস্তের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপও নেওয়া হবে। জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
এদিকে চাকরি চলে যাওয়ার কথা শুনেই টুইটারে সরব হয়েছেন কাফিল খান। তিনি জানিয়েছেন, ৬৩জন শিশু মারা গিয়েছিল কারণ সরকার দুটি অক্সিজেন সরবরাহকারীকে টাকা মেটায়নি। আট জন চিকিৎসক ও কর্মীকে এই ঘটনার পর সাসপেন্ড করা হয়েছিল। মৃত শিশুদের অভিভাবকরা বিভিন্ন মহলে ন্যায় বিচারের জন্য দরবার করেছেন। মানুষই বিচার করবেন এই ঘটনায় ন্যায় বিচার নাকি অবিচার হয়েছে? টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, জেলাশাসক আগেই জানিয়েছিলেন এই ঘটনায় আমার কোনও দোষ নেই। আমি দুর্নীতিতেও যুক্ত ছিলাম না। আমাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অথচ মূল অভিযুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে।আমি ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, আর চার মাস বাকি রয়েছে যারা এই ঘটনায় যুক্ত তারা ক্ষমতা থেকে সরে যাবে। এদিকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে জানিয়েছেন, অসৎ অভিপ্রায়ে সরিয়ে দেওয়া হল কাফিল খানকে। কংগ্রেস কাফিল খানের ন্যায় বিচারের লড়াইতে পাশে থাকবে।