চিনের সঙ্গে সীমান্ত দ্বন্দ্বের মধ্যে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার আরও শক্তিশালী করল ভারত। সোমবার ওড়িশা উপকূল থেকে সফলভাবে সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সমন্বিত অত্যাধুনিক সিস্টেমের পরীক্ষা করা হল। পোশাকি ভাষায় সেটির নাম ‘সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিজ অফ টর্পেডো’ বা ‘স্মার্ট’। যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বহুদূরে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট রেঞ্জ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ান, টর্পেডো নিক্ষেপ করা, ভেলোসিটি রিডাকশন মেকানিজম প্রযুক্তির ব্যবহার-সহ সেই পরীক্ষার যাবতীয় লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। একইসঙ্গে ডুবোজাহাজ-বিরোধী যুদ্ধের ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা অত্যন্ত উল্লেখজনক ভূমিকা পালন করবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
‘স্মার্ট’-এর সফল পরীক্ষায় খুশি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) প্রধান ডি সতীশ রেড্ডি। তিনি জানান, ডুবোজাহাজ-বিরোধী যুদ্ধে নয়া প্রযুক্তি হতে চলেছে ‘গেম চেঞ্জার’। তাঁর কথায়, 'ডুবোজাহাজ-বিরোধী যুদ্ধ ক্ষমতার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই উৎক্ষেপণ এবং প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।' সোমবার সেই সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিওকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সি।
সামুদ্রিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) সুদর্শন শ্রীখাণ্ডে জানান, রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে নিক্ষেপ করা টর্পেডোর প্রযুক্তি আগেই শুরু করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং মার্কিন নৌসেনা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলনামূকভাবে কম দূরত্বে টর্পেডো বা পরমাণু বোমার মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুকে ঘায়েল করা যায়। ‘স্মার্ট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নৌসেনা ব্যয় ও অভিযানের প্রয়োজনীয়তার উপর স্মার্ট সিস্টেম মোতায়েনের বিষয়টি নির্ভর করবে।’