তামিলনাডু থেকে গ্রেফতার হল কেরলার পলাতক মাদক ব্যবসায়ী। যে পালানোর আগে পুলিশদের উদ্দেশ্যে হিংস্র কুকুর ছেড়ে দিয়েছিল। তামিলনাডুর তিরুনেলভেলিতে তার আস্তানা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত রবিনকে (২৯) তামিলনাডু থেকে বৃহস্পিবার গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন রাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গান্ধী নগর থানায় আনা হয়, বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার পুলিশ বলে, ‘অভিযুক্তকে তামিলনাডু থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কেরলে আনা হয়। এখনও তাঁকে জ্ঞিসাবাদ চলছে। ’
গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে রবিনের কেরলের আস্তানায় যায় কোয়ান্টাম পুলিশের মাদক বিরোধী স্কোয়াড। তারা তাল্লাশি চালানোর সময় দেখে একদল কুকুর খাঁকি পোশাক পরা পুলিশদের দেখলেই তাড়া করছে। তখন তল্লাশি ছেড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে যায় পুলিশের ওই টিম। সেই সুযোগে আস্তানা থেকে পালিয়ে যায় রবিন। পরে ডগ স্কোয়াডের কুুকুর এনে ফের তল্লাশি শুরু করে।
তল্লাশির সময় রবিনের ওই আস্তানা থেকে ১৮ কেজি গাাঁজা উদ্ধার হয়।
(পড়তে পারেন। ৪০টি কুুকুরকে ধর্ষণ ও খুন করেছেন, আদালতে স্বীকার করলেন বিখ্যাত প্রাণী বিশেষজ্ঞ)
কোট্টায়ামের পুলিশ সুপার কে কার্তিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি কুকুরের প্রশিক্ষকের কাছে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি সহায়তা করতে চাননি। তারপর নিজেইস স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে কুকুরগুলি ট্রেনিং দেন। খাঁকি উর্দি দেখলেই কুকুরগুলি ঝাপিয়ে পড়ত।
তবে প্রতিবেশীরা রবিনের মাদকের ব্যবসা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তাঁরা জানতেন কুকুরের প্রশিক্ষণ দেয় রবিন। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। এলাকার অনেকে আবার তাঁকে পোষা কুকুর রাখতে দিত। প্রতি ঘণ্টা এক হাজার টাকা চার্জ হিসাবে নিতেন রবিন।