অ্যাডাম ব্রিটন পেশায় একজন কুমির বিশেষজ্ঞ। একসময় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড অ্যাটেনবরোর সঙ্গে কাজও করেছিলেন। সেই তিনিই এবার স্বীকার করে নিলেন ধর্ষণের অভিযোগ। ৪০টিরও বেশি পোষা কুকুরকে ধর্ষণ এবং খুন করলেন ওই ব্যক্তি। এই মর্মে তাঁর বিরুদ্ধে ১২টিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(আরও পড়ুন: হার্টের স্নায়ু নষ্ট হতে পারে একটিমাত্র রোগেই! সময় থাকতে কোন কাজটি না করলেই নয়)
অল্প বয়সেই ব্রিটেন ছাড়েন অ্যাডাম ব্রিটন। উত্তর অস্ট্রেলিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চলে বসবাসকারী নোনা জলের বিশাল কুমিরের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। সেই নিয়ে কাজ করতেই অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলে যান তিনি। উত্তরাঞ্চলের ডারউইনের বাসিন্দা এই প্রাণীবিদ একদিকে যেমন বই লিখেছেন অন্যদিকে চলচ্চিত্রের কাজও করেছেন। বিবিসি এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন। আধ টন ওজনের একটি পোষা কুমির রয়েছে তাঁর। ১৬ ফুট লম্বা নোনা জলের কুমিরের নাম স্মাগ। সোমবার, ৫১ বছর বয়সি অ্যাডাম নর্দার্ন টেরিটরির সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার অভিযোগ স্বীকার করে নেন। এর মধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে পশু সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ, কুকুরকে ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা, অন্যদিকে রয়েছে শিশু নির্যাতনে যুক্ত থাকার অভিযোগ।
(আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর জ্যামেই পিৎজা অর্ডার যুবকের! ডেলিভারিও রাস্তাতেই! নিমেষে পোস্ট Viral)
প্রমাণগুলি শুনলে ‘নার্ভাস শক’ হতে পারে। এমনটা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি মাইকেল গ্রান্ট আদালতে উপস্থিত সবাইকে সতর্ক করেন। কক্ষে উপস্থিত লোকজন, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের আদালতকক্ষ ছেড়ে যাওয়ার বিকল্প প্রস্তাবও দেন বিচারপতি।
‘এমন কাজ করেছেন যেগুলিকে বীভৎস নিষ্ঠুরতা বলা যায় এককথায় আমার মূল্যায়নে (তাদের) এই ঘটনার বিবরণ শ্রোতা ব্যক্তিকে নার্ভাস শক দিতে পারে।’ শুনানি শুরুর আগে এই কথাই বলেন মাননীয় বিচারপতি।
ব্রিটন মূলত ব্রিটেনের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা। গত বছর এপ্রিলে তিনি গ্রেফতার হন। এখনও পর্যন্ত একটি বিশেষ আদেশে তাঁর পরিচয় গোপন করা হয়েছিল। আদালত এই দিন জানতে পারে , এই বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের প্রাণীদের বিশেষ করে কুকুরের প্রতি যৌন আগ্রহ ছিল। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় এই কাজ। এর পর নানা সময় ৪০টি প্রাণীকে হত্যা করেন অ্যাডাম।