শ্রুতি তোমার
খুন হয়েছিল ৮ মাস আগে। ঘটনায় অভিযুক্ত তারপর সেই মৃতের মাথার খুলি বাড়িতে রেখে আশপাশের বাসিন্দাদের ভয় দেখাত। অভিযোগ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের। জানা গিয়েছে এই খুনের ঘটনার পর সদ্য সোমবারই সেই মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। এক সিনিয়র পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সঙ্গে তার লিভ ইন পার্টনারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
৪০ বছর বয়সী শমশের একসঙ্গে বসবাস করতে লিভ ইন পার্টনার আশা ঠাকুরের সঙ্গে। এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা একসঙ্গে জনৈক শিবদত্ত ভোলেরাওকে খুন করেছেন। ভোপালের শিবদত্তের খুন হয় ২০ অক্টোবর। এদিকে, সদ্য ভোপালেরই হবিবগঞ্জ এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, তাঁদের প্রতিবেশী শমশের আর আশা কথায় কথায় তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া করেন আর একটি মৃত মানুষের মাথার খুলি দেখিয়ে ভয় দেখান। এরপর পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে শমশেরের লিভিং রুম থেকে বের হয় একটি মাথার খুলি। এরপরই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই জানা গিয়েছে শমশের আর শিবদত্ত বন্ধু ছিল। তবে শমশের বাড়িতে না থাকাকালীন আশাকে উত্যক্ত করত শিবদত্ত। জ্ঞানবাপী মসজিদের নাম গুগল ম্যাপে বদলের দাবি! বিতর্কিত ইমেল ঘিরে মুখ খুলল স্কুল
আশা যাবতীয় ঘটনা শমশেরকে জানালে তারা দুজনে মিলে শিবদত্তকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এরপর শিবদত্তকে খুন করে তারা মৃতদেহের উপর নুন ছড়িয়ে দেয় বলে খবর। এমনই জানিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনা কবুল করেছে শমশের। এরপর শিবদত্তের দেহ পচে গলে গেলে, দেহ পুঁতে ফেলে তার মাথার খুলি ঘরে রেখে দেয় শমশের। এরপর শমশেরকে আশপাশের বাড়ির মহিলারা বারবার প্রশ্ন করতেন কেন শমশের ও তার সঙ্গীনী আশা বিবাহ ছাড়া সেখানে থাকছেন একসঙ্গে? যে প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে ওই মাথার খুলি শমশের তুলে ধরে বলে সে স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। এদিকে শিবদত্তের মা পুলিশের কাছে শিবদত্তের নিখোঁজ হওয়ার ডায়রি করেন গত ২ অক্টোবর। যাবতীয় সূত্র মিলে যেতেই এবার ওই মাথার খুলি ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।