যাবতীয় আইনি অধ্যায়ের পর শেষমেশ বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। এর আগে, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, ১৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য। দেশের শীর্ষ আদালত এই মামলায় সোমবারের নির্দেশে এসবিআইকে জানিয়েছিল, যাতে তারা অকদিনের মাথায় নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সংক্রান্ত যাবতীয় নথি কমিশনের হাতে তুলে দেয়। এরপর সেই তথ্য এসবিআই যথা সময়ের মধ্যেই তুলে দেয়। তারপরই বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কমিশন।
এর আগে, ২০১৮ নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সুু্প্রিম কোর্টের স্কিম শীর্ষ আদালত বাতিল করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত, তার নির্দেশে এসবিআইকে জানায় যাতে তারা এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে দেয় নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, কোন পার্টি কত টাকা কোন সংস্থা বা অস্তিত্বের থেকে পেয়েছে। এই তথ্যগুলি এসবিইয়ের থেকে পেয়ে নিজের ওয়েবসাইটে তুলে ধরে নির্বাচন কমিশন। এই তথ্য তুলে ধরে কমিশন ফের তার স্বচ্ছ্বতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছে। কমিশন বলছে, ‘ ভারতের নির্বাচন কমিশন ধারাবাহিকভাবে এবং স্পষ্টভাবে প্রকাশ এবং স্বচ্ছতার পক্ষে সায় দিয়েছে। তার এই অবস্থায় মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উল্লেখ করা আছে।’
এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) ভারতের নির্বাচন কমিশনের সাথে দুটি সেটের তথ্য ভাগ করেছে। প্রথম সেটে নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতার নাম, তারিখ এবং মূল্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দ্বিতীয় তালিকায় রাজনৈতিক দলের তারিখ এবং নগদ বন্ডের মূল্য বিবরণ রয়েছে। এই তথ্য নির্বাচনী বন্ডে ক্রেতার নাম এবং বন্ডের মাধ্যমে তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দান করেছেন তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করে। অর্থ দাতাদের তালিকায় নাম রয়েছে, মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস (লটারি মার্টিন), সান ফার্মা, লক্ষ্মী মিত্তাল, সুলা ওয়াইন, ডিএলএফ কমার্শিয়াল ডেভেলপারসদের। তালিকায় প্রাপকদের লিস্টে নাম রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস, এআইটিএমসি, বিআরএস, এআইডিএমকে, টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আপ, এসপি, জেডিইউ-র।