টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন ইলন মাস্ক। এবং চুক্তি সম্পন্ন হতেই টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়ালকে থেকে বের করে দিলেন মাস্ক। এমনটাই দাবি করা হল সিএনবিসি-র এক রিপোর্টে। শুধু সিইও পরাগকেই নয়, টুইটারের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরি থেকে বের করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এর আগে পরাগ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছিলেন ইলন মাস্ক।
প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক টুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার প্রচেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এরপরই সম্প্রতি তিনি জানান যে তিনি পূর্ব ঘোষণা মতো টুইটার কিনতে ইচ্ছুক। এই আবহে এবার টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করলেন ইলন মাস্ক। এর আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টুইটারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন যে ৪৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির সময় টুইটারের তরফে তাঁকে সংস্থা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে এই চুক্তি বাতিল না করে তা সম্পন্ন করার জন্য টুইটারের তরফে মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
চুক্তি ভাঙার কারণ হিসাবে মাস্ক কী বলেন? টুইটারে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বলেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। আর সেই কারণেই চুক্তি বাতিল করেন বলে দাবি করেন টেসলার কর্ণধার। টুইটারে বট, স্প্যাম অ্যাকাউন্টের নিষ্পত্তি না করলে চুক্তি করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে পরাগ আগরওয়াল এবং মাস্কের মধ্যে তিক্ততা বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সংস্থার মালিক হতেই পরাগকে চাকরি থেকে বের করে দিলেন মাস্ক।
এদিকে এর আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ইলন মাস্ক টুইটারের মালিক হতেই সংস্থার ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করবেন। তবে সংস্থার সান ফ্রান্সিসকোর সদর দফতরে গিয়ে নিজে কর্মীদের চাকিরর বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন মাস্ক। তাঁর টুইটার অধিগ্রহণের ফলে ছাঁটাইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিকে গত বুধবারই নিজের ‘বায়ো’ বদল করে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘চিফ টুইট’। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি নিজেই সংস্থার প্রধান হতে চলেছেন।