পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদবের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জনতা দল-ইউনাইটেডের (জেডিইউ) প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি প্রয়াত হয়েছিলেন গত ১২ জানুয়ারি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। এরপর গতকাল, শনিবার মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার তাঁর পৈতৃক গ্রাম আঁখমাউতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে দাহ করা হয় শরদ যাদবকে। সাতবারের সাংসদ শরদ যাদবের উত্থান হয়েছিল সত্তরের দশকে। জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ময়দানে পা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্নের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। (আরও পড়ুন: শীঘ্রই করোনার XBB.1.5 রূপ আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করবে ইউরোপে, দাবি স্বাস্থ্য সংস্থার)
শনিবার বিকেলে একটি ব্যক্তিগত বিমানে যাদবের মৃতদেহ ভোপালে আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং প্রয়াত শরদ যাদবের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে সড়কপথে তাঁর মৃতদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ আঁখমাউতে পৌঁছায় প্রাক্তন জেডিইউ প্রধানের শহদেহ। শারদ যাদবকে শেষবারের মতো দেখতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামবাসীরাও প্রচুর সংখ্যায় ভিড় জমান সেখানে। শরদ যাদবের মেয়ে সুভাষিনী ও ছেলে শান্তনু শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। দিগ্বিজয় সিং, তাঁর ছেলে এবং কংগ্রেস বিধায়ক জয়বর্ধন সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল এবং সমাজবাদী পার্টির রাজ্য সভাপতি রামায়ণ সিং শেষকৃত্যের সময় আঁখমাউ গ্রামে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে সম্প্রতি গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল শরদ যাদবকে। বৃহস্পতিবার সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর নিশ্চিত করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মেয়ে সুভাষিণী শরদ যাদব। শরদ যাদবের ভাই এসপিএস যাদব বলেন, 'লোকেরা শারদ ভাইকে শ্রদ্ধা জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। তিনি সবসময়ই তাদের জন্য লড়াই করেছিলেন। গত বছর গ্রামে এসেছিলেন তিনি। নববর্ষে ফোনে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন যে তিনি গ্রামে আসতে চান। কিন্তু আমরা জানতাম না যে তার মৃতদেহ গ্রামে আসবে।'
প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন শরদ। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৭। তারপর ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে একাধিক মন্ত্রক সামলেছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। সেইসময় রাজ্যসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে বিহারের মাধেপুরা থেকে ফের জিতেছিলেন শরদ। জেডিইউ গঠন করেছিলেন শরদ যাদবই। ২০০৩ সালে জেডিইউয়ের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন শরদ। পরবর্তীতে অবশ্য নীতীশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর দু'জনের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। ২০১৮ সালে জেডিইউয়ের সঙ্গে সম্পর্কের পাট চুকিয়ে লোকতান্ত্রিক জনতা দল তৈরি করেছিলেন শরদ। যদিও শারীরিক কারণে সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক ভাবে আর সক্রিয় ছিলেন না তিনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup