বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমে সেনাবাহিনীর গোলবারুদের একটি ডিপো। সেই বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ তিস্তা নদীর তীরে পাওয়া যেতে পারে। তা নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেদিল সিকিম সরকার।
বৃহস্পতিবার ভূমি রাজস্ব দফতরের জারি করা একটি নির্দেশিকায় স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে,'তিস্তা অববাহিকায় বিস্ফোরক ও গোলাবারুদ পাওয়া যেতে পারে। এই গোলা বারুদ নদীর পার থেকে তোলা উচিত না। কারণ যে কোনও মুহূর্তে সেগুলি বিস্ফোরিত হতে পারে এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত পূর্ব ভারতে এই রাজ্যে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং তার পরর্বতী সময়ে আকস্মিক বন্যা অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ জন সেনা সদস্য-সহ অন্তত ১০২জন নিখোঁজ।
সেনাবাহিনী থেকেই অনুরোধ করা হয় এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য। উত্তর সিকিমের চুংথাং এলাকায় একটি সেনা ডিপো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(পড়তে পারেন। লাচেন এবং লাচুং-এ আটকে ৩০০০ পর্যটক, ‘এয়ারলিফটিং’ নিয়ে ধন্দে প্রশাসন)
(পড়তে পারেন। তিস্তা খেয়ে নিয়েছে রাস্তা, ঘুরপথে গ্যাংটক, পুজোয় কি সিকিম ট্যুর সম্ভব?)
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চারটি জেলার মধ্যে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান জেলার চুংথাং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা জলে তিস্তা তৃতীয় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ ভেসে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবারও অবিরাম বৃষ্টির কারণে তিস্তার জলস্তর আরও বাড়ছে। জনগণেকে নদীতে না নামতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গ্যাংটকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিকরা বলেন, 'চুংথাংয়ের রাস্তা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অন্ধকারে।'
তিস্তা অববাহিকার মোট ১১ টি সেতু ভেসে গিয়েছে। জাতীয় সড়ক ১০-এর একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাঙ্গান রাজ্যের অন্যান্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং এনজিওগুলি উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। রাজ্যের চারটি জেলার ২২টি ত্রাণ শিবিরে ৬৫০ জনকে রাখা হয়েছে।