চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সফলভাবে নতুন AIP প্রযুক্তির অন্তিম পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে DRDO । এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটানা বহুক্ষণ জলস্তরের নিচে থাকতে পারবে সাবমেরিন। আপাতত ভারতীয় নেভির সাবমেরিনগুলিতে তা প্রয়োগের উদ্যোগও তুঙ্গে। নয়া প্রযুক্তির প্রয়োগে ইন্দো-প্যাসিফিকে আরও শক্তি বৃদ্ধি পাবে ভারতের।
তবে, এই প্রযুক্তির প্রয়োগকে শুধু বিজ্ঞান বা সামরিক প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিচার করলে বোধ হয় একটু ভুল হবে। অন্তত এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সোমবারের এই পরীক্ষা ও মহড়াকে হালকাভাবে তাঁরা নিতে নারাজ। তাঁদের মতে এটা নেভির শক্তি বৃদ্ধির দীর্ঘকালীন পরিকল্পনারই একটি অংশমাত্র। এর শুরু এখানে হলেও একই স্রোতে রয়েছে নেভির ৬টি পারমাণবিক-শক্তিচালিত সাবমেরিনের পরিকল্পনা।
নেভির কনফারেন্স সূত্রে খবর, চলতি বছরেই সাগরে পাড়ি দিতে পারে বিশাল এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্ত। তার পরেই পাখির চোখ পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিকল্পনাগুলির মূলে ইন্দো-প্যাসিফিকে শক্তি প্রদর্শন ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রয়াস। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বড় নেভি রয়েছে চিনের। যদিও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এখনও এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্ষেত্রে জলে ভারসাম্য বজায় রাথতে হলে শক্তি বৃ্দ্ধিই একমাত্র পথ। আর সেই কারণেই একের পর এক নয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী, মত বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে ভারত মহাসাগরে ক্রমেই বাড়ছে চিনের আস্ফালন। চিনের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক ফোর্সের উপস্থিতিকে মোটেও ভাল নজরে দেখছেন না ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপাদেষ্টারা। আর সেই কারণেই যুক্ত করা হচ্ছে নতুন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ও সাবমেরিন।
দুটি ক্যারিয়ার বাদ দিয়েও আরও একটি ক্যারিয়ার বিশালের আবেদন জানিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। কিন্তু আপাতত বিপুল খরচের কারণে সে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ওয়েস্টার্ন ন্যাভাল কমান্ড-এর প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) ভাইস অ্যাডমিরাল মদনজীত্ সিং-এর কথায়, 'চিনা আগ্রাসন রুখতে হলে মোদী সরকারকে আবশ্যিকভাবে নেভির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।'