প্রতিবাদী ডিক্তারদের বিরুদ্ধে ‘বল প্রয়োগ’ দিল্লি পুলিশের। আর এর প্রতিবাদেই ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ঘোষণা করা হল যে ২৯ জিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে দেশের সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তর স্তরে নিট কাউন্সেলিংয়ে দেরি হওয়ার অভিযোগে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করে সুপ্রিম কোর্ট যাচ্ছিলেম ডাক্তাররা। সেই সময় চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মিছিল আটকায় পুলিশ। তাই এবার চিকিৎসা পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হুমকি দিল আবাসিক চিকিৎসক সংগঠন। পরে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ২৯ জিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে দেশের সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দিল্লি পুলিশের আচরণের প্রেক্ষিতে দিনটিকে 'কালো দিন' হিসেবে উল্লেখ করে চিকিৎসক সংগঠন 'ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস' অ্যাসোসিয়েশন' ও ‘ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’। চিকিৎসক সংগঠনগুলির দাবি, নিট পিজি কাউন্সেলিং দ্রুত সম্পন্ন জন্য শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল৷ তাদের নৃশংসভাবে ধাক্কা মেরে, টেনে হিঁচড়ে আটকেছে পুলিশ৷
অভিযোগ, সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করে চিকিৎসকরা যখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের মাঝপথে আইটিওর কাছে আটকায় পুলিশ। হাজারেরও বেশি চিকিৎসকদের আটকানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। তারপর প্রতিবাদীদের নাকি নৃশংসভাবে ধাক্কা মেরে, টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এই ঘটনার পর প্রতিবাদী চিকিৎসকেরা সন্ধের দিকে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে জড়ো হন৷ তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন৷ যদিও পুলিশ তাঁদের মাঝপথে বাধা দেয় এবং সরোজিনী নগর পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়৷ পরে গভীর রাতে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ মঙ্গলবার মধ্যরাতে চিকিৎসকেরা একটি বৈঠক করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করেন।