গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে একের পর এক 'ভুয়ো'-র খোঁজ মিলছে। আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিক, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে জালিয়াতরা। সেই বিষয় নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগতে ছাড়েনি বামদলগুলি। তবে এবার দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্যেও খোঁ মিললি 'ভুয়ো'-র। কেরলের আলেপ্পির এক আইনজীবীকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়েছে। জানা গিয়েছে সেসি জেভিয়ার নামক সেই মহিলা আদতে আইনজীবী নন। তিনি এলএলবি পাশ করেননি। তবে তা সত্ত্বেও তিনি নির্বিঘ্নে দুই বছর আইনি ক্ষেত্রে 'প্র্যাক্টিস' করে গিয়েছেন।
জেভিয়ার দাবি করেন তিনি আলেপ্পির বার কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। কারোর সন্দেহ না বাড়িয়েই বিভিন্ন আইনের ফার্মে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন। সেখানে তিনি নিজেকে আইনের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এই আবহে বার কান্সিলের সদস্য পদের জন্যে আবেদন জালানে ২০১৯ সালে নাকি তিনি সদস্যপদ পান।
বিভিন্ন মামলা তিনি লড়েওছেন আলেপ্পি আদালতে। এই বছর তিনি বার কাউন্সিলের নির্বাচনে লড়েন এবং লাইব্রেরিয়ান হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে গত ১৫ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয়ে একজন বার কাউন্সিলকে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে দাবি করা হয় জেভিয়ারের কাছে এলএলবি ডিগ্রি নেই, না আছে বৈধ এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট। চিঠি পেয়ে তদন্তে নামে কেরল বার কাউন্সিল। এতেই বার জানতে পারে যে জেভিয়ারের জমা দেওয়া এনরোলমেন্ট ন্মবরটি আদতে অন্য আইনজীবীর। এরপরই জেভিয়ারের বারের সদস্যপদ খারিজ হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই সময় থেকে তিনি পলাতক। জানা গিয়েছে লাইব্রেরিয়ান থাকাকালীন জেভিয়ার বেশ কিছু বই চুরি করেছেন। তা নিয়েও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।