Covid-19 সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের আওতায় মুম্বই নগরী। আর শহরে ভিড় কমতেই সংলগ্ন উপকূলে দেখা দিয়েছে ডলফিনের ঝাঁক। সোশ্যাল মিডিয়ার এই খবর ভাইরাল হওয়ার পরে ছন্দপতন ঘটাল বেরসিক পরিসংখ্যান।
জীবাণু সংক্রমণের জেরে বাণিজ্য নগরীর বাসিন্দারা হওয়ায় দূষণ কমেছে এতটাই যে, ব্রিচ ক্যান্ডি ক্লাবে বসেই দিব্যি উপভোগ করা যাচ্ছে উপকূলে ডলফিনের লাফঝাঁপ। লকডাউন-এর ইতিবাচক দিক নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে শনিবার টুইটারে এমনই মন্তব্য করেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা।
দুঃখের বিষয়, নায়িকার নির্মল আনন্দে বাধ সেধেছেন দর্শন খাটাউ নামে বেরসিক স্থানীয় পক্ষীবিদ। গত বৃহস্পতিবার মালাবার হিলের রাজভবন উপকূলে একঝাঁক হাম্পব্যাক ডলফিনের ভিডিয়ো তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেকে তাঁর তোলা সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে মুম্বইয়ের বিভিন্ন উপকূলে ডলফিন দেখা যাচ্ছে বলে রটিয়ে বেড়াচ্ছেন।
খাটাউ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে প্রায়ই মালাবার উপকূলে তিনি ডলফিনের ঝাঁক দেখতে পেয়েছেন ও ছবিও তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রতি বছর ডিসেম্বরের গোড়া থেকে বর্ষার আগমন পর্যন্ত মালাবার হিলস অঞ্চলে উপকূলে তাদের হামেশাই দেখা যায়।
২০১৮ সালের মে মাসে ভারসোভা ও মাধ জেটির মাঝামাঝি সমুদ্রে ভারত মহাসাগরীয় কুঁজো প্রজাতির ডলফিনের ঝাঁক দেখে সংবাদ প্রকাশ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস। তার জেরে বন দফতর জানিয়েছিল, গত ৬ বছর ধরে মুম্বই উপকূলের একাংশে ওই প্রজাতির ডলফিনের আনাগোনা বেড়েছে।
ডলফিনের আগমনের সঙ্গে লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই জানিয়ে মহারাষ্ট্র বন দফতরের প্রধান সংরক্ষণাধিকারিক (ম্যাংগ্রোভ সেল) বীরেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, ‘মুম্বই উপকূলে ডলফিনের উপস্থিতি নতুন নয়। মানোরি, ভারসোভা খাঁড়ি অঞ্চল থেকে নরিমান পয়েন্ট এমনকি মেরিন ড্রাইভ সৈকতের কাছেও তাদের প্রায়ই দেখা গিয়েছে। এর সঙ্গে জেলেনৌকোর সংখ্যা কমে যাওয়া অথবা শহরে লকডাউন জারি করার কোনও সম্পর্ক নেই।’