সরকারের সমঝোতার প্রস্তাব খারিজ করে দিল বিক্ষোভরত চাষীরা। কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এই দাবিতে অনড় থাকলেন কৃষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে আপাতত দেড় বছরের জন্য আইন চালু করা হবে না, ততদিন একটি কমিটি চাষীদের সঙ্গে আলোচনা করবে ধারাগুলি নিয়ে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করল চাষীরা। এদিন জেনারেল বডি মিটিংয়ের পর সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফ থেকে বলা হয় যে তারা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করছে।
প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে তিনটি চাষী আইন প্রত্যাহার করতে হবে ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইনি অধিকার করতে হবে। এই আন্দোলন চলাকালীন ১৪৩জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি। তাঁদের আত্মত্যাগ যাতে বৃথা না যায়, সেই জন্যই এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে যে দিল্লি পুলিশের অনুরোধ তারা মানবেন না। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল করার দাবিতে অনড় চাষীরা। একই সঙ্গে গোটা দেশেই যে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আন্দোলনে গতি আসছে, সেই দাবিও করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে কলকাতাতেও বড় মাপের প্রতিবাদ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কৃষকরা।
প্রসঙ্গত বুধবার দশম দফার বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে অবস্থান নরম করে বলা হয় যে আপাতত দেড় বছরের জন্য কৃষি আইনকে ঠান্ডা ঘরে পাঠাতে তারা প্রস্তুত যদি এই আন্দোলন আপাতত গুটিয়ে নেওয়া যায়। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতেও রাজি ছিল কেন্দ্র। কৃষিমন্ত্রী আশা করেছিলেন এই প্রস্তাব মেনে নেবে চাষীরা। কিন্তু এদিনের বৈঠকে এই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত হলেন না বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার ফের চাষীদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক আছে। কিন্তু এদিন চাষীরা যে অবস্থান নিয়েছেন, তার পর সেই বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধান বেরোবে, এমন প্রত্যাশা খুবই ক্ষীণ।