ফারুখাবাদে পুলিশের গুলিতে খতম হল শিশু অপহরণকারী দাগি অপরাধী। উদ্ধার হল পণবন্দি কুড়িটির বেশি শিশু। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের বেধড়ক মারধরে নিহত হলেন সুভাষেরে স্ত্রী।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সুভাষ বাথাম নামে ওই দুষ্কৃতী। উদ্ধার হওয়া পণবন্দি শিশুরা অক্ষত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কানপুরের আইজি মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকাজ চলাকালীন বাথামকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অবিনাশ অবস্থি জানিয়েছেন, পণবন্দি থাকা সব শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সকলে নিরাপদে নিজেদের বাড়িতে ফিরেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে পণবন্দি শিশুদের উদ্ধার করার পরে নিহত সুভাষের স্ত্রীর উপরে চড়াও হয় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। স্বামীর অপরাধের জেরে তিনি গণপিটুনির শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিজের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবেশী কুড়িটির বেশি শিশুকে তার বাড়িতে বিকেলে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল জামিনে মুক্ত খুনের আসামি সুভাষ বাথাম। শিশুরা তার বাড়িতে এলে সে তাদের একটি ঘরের ভিতরে বন্দি করে। স্থানীয়রা তার বাড়িতে পৌঁছে দরজা খোলার চেষ্টা করলে ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে সে স্থানীয় বিধায়কের সঙে্গে কথা বলার দাবি জানায়। পুলিশের মধ্যস্থতায় সেই ব্যবস্থা করা হলেও কোনও মীমাংসা হয়নি।
এ দিকে, আলোচনা ভেস্তে গেলে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে সুভাষ গুলি ও বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। জবাবে পালটা গুলি চালায় পুলিশও। সুভাষের গুলিতে পুলিশের একজন ইন্সপেক্টর, একজন কন্সটেবল ও এক গ্রামবাসী আহত হন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে সুভাষ মারা যায়। উদ্ধার হয় পণবন্দি শিশুরা।