সামনেই ছিল পরীক্ষা। তবে লেখাপড়া করার ইচ্ছে ছিল না কিশোরীর। ফলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল সে। অথচ তার বাবার ইচ্ছে ছিল মেয়ে যেন ভালো করে পড়াশোনা করে। এই অবস্থায় সামনে পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা না করায় মেয়েকে পিটিয়ে খুন করল বাবা। এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের সিরোহি জেলায়। মৃত কিশোরীর বয়স ১৭ বছর। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়, সন্দেহের বশে ৮ মাসের শিশুকে থেঁতলে খুন করল বাবা
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি না নেওয়ায় মেয়ের ওপর রেগে যান ফতেহ মহম্মদ নামে ওই ব্যক্তি। রাগের বশেই তিনি মেয়েকে পিটিয়ে খুন করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তারা রাজস্থানের সিরোহি জেলার প্রেম নগরের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার পুষ্পেন্দ্র ভার্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরেই কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার দুদিন আগে শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়েটি একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। পড়শোনা নিয়ে বচসার জেরে মেয়ের ওপর প্রচণ্ড রেগে যান মহম্মদ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় অনীহা ছিল কিশোরীর। পরীক্ষার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছিল না। সেই ক্ষোভ বৃহস্পতিবার মহম্মদ লাঠিসোঁটা নিয়ে মেয়ের ওপর হামলা চালান। হামলার পর মেয়েটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়ের কাকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত লাঠি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ডিএসপি জানান, অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুধুমাত্র পড়শোনা না করার জন্য মেয়েকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা। কিশোরীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।