তালিবান নেতার মুখোমুখি হয়ে ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন বেগেস্তা অরঘ্যান্ড নামে এক মহিলা সাংবাদিক। তালিবান নেতার ইন্টারভিউ নিয়ে ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই তালিবানরা আফগানিস্তান নিজেদের কব্জায় নেওয়ার পর সেই মহিলা সাংবাদিকই দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন। ক্ষমতায় আসার পর মুখে তালিবানরা মহিলাদের স্বাধীনতা খর্ব না করার কথা বললেও আফগানিস্তানে মহিলা সাংবাদিককে তাঁর নিজের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হল।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক জানিয়েছেন, তালিবানদের ভয়েই তাঁকে দেশ ছাড়তে হচ্ছে। তালিবানরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটা যদি তাঁরা সত্যি সত্যি করেন, তাহলে তিনি হয়ত ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে পারবেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাঁর পক্ষে দেশে ফিরে আসা সম্ভব নয়। বেগেস্তা জানিয়েছেন, এক মাস কুড়ি দিন মতো তিনি আফগানিস্তানের টোলো নিউজে কাজ করেছেন। তারপরই তালিবানরা এসে আফগানিস্তানের কব্জা নিয়ে নেয়। উল্লেখ্য, গত ১৭ অগস্ট বেগেস্তা একজন সিনিয়র তালিবান নেতার সাক্ষাৎকার নেয়। সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে তালিবানদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি চালানো থেকে শুরু করে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারের পর রাতারাতি স্টার হয়ে যান বেগেস্তা। কারণ, এক মহিলা সাংবাদিক হিসাবে তালিবান নেতার সাক্ষাৎকার নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন বেগেস্তা, যা আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ভাবাই যেত না। ঐতিহাসিক সেই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে যায়।
টোলো নিউজের পরিচালন সংস্থা মবি গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ সাদ মোহসেনি জানিয়েছেন, একের পর এক সাংবাদিকরা এখন দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে। অনেক পরিচিত সাংবাদিকরাই চলে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। পুরনোদের বদলে নতুনদের নিয়েই কাজ চালিয়ে যাব। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের এই টেলিভিশন সংস্থাই তালিবানদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া মালালা ইউসুফজাইয়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। কোনও আফগান টেলিভিশন চ্যানেলে মালালা প্রথম সাক্ষাৎকার দিযেছিলেন।