হাওড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন। জানা গিয়েছে, ট্রেনটির গন্তব্য সেকেন্দ্রাবাদে ঢোকার কিছু আগেই এক এসি কামরায় আগুম ধরে যায়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। চলন্ত ট্রেনে এভাবে আগুন লাগার ঘটনায় অবশ্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এরপর ট্রেন থেকে যাত্রীরা লাফ দিয়ে নামেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর এখও পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেকেন্দ্রাবাদ অঞ্চলে।
জানা যায়, ফলকনুমা এক্সপ্রেসটি প্রায় সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের কাছাকাছি তখন। গন্তব্যে পৌঁছতে বাকি আর কয়েকটা মিনিট। সেই সময় দেখা যায়, এসি কামরা থেকে গলগলিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এই আবহে আতঙ্ক দেখা দেয় যাত্রীদের মধ্যে। অপরদিকে উপস্থিত বুদ্ধিতে মাঝ পথেই ট্রেন থামিয়ে দেন লোকো পাইলট। তখন সেখানেই প্রাণ ভয়ে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। এদিকে সেই এসি কামরা ছাড়া অন্যান্য বগির যাত্রীরাও আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন মাটিতে।
এদিকে এই দুর্ঘটনায় যাতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তার জন্য় রেলকর্মী বালতিতে করে জল এনেই আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও। তারা খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে জানান, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। যদিও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালেও হাওড়া সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এর জেরে পুড়ে যায় রেকটি। পরে সেই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল, ফাঁকা ট্রেনে বিড়ি খেয়ে ফেলেছিলেন সেই ব্যক্তি। তা থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে ট্রেনে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।