মূল ঘটনার সূত্রপাত গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে। সেই সময় থেকেই নির্যাতিতার ওপর চলেছে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। এমনই অভিযোগ নিয়ে গুজরাতের আমেদাবাদের কারাঞ্জ এলাকা বাসিন্দা দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের কাছে। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর আগে সন্তানকে দুধের গ্লাস দেওয়ায় তাঁকে পরিবারের সকলের সামনে তলাক দেন তাঁর স্বামী।
উল্লেখ্য, এই নির্যাতিতার দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে পণের দাবি করছিলেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মহিলার বাড়ি থেকে যাতে ১ লাখ টাকা নিয়ে আসা হয় তার জন্য বলা হচ্ছিল। এই ঘটনা ঘিরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলে বাদানুবাদ। বহুবার মহিলাকে মারধরও করেন তাঁর স্বামী, অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতা। এদিকে সেই পণের টাকা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যখন বচসা চলছিল, তখনই তাঁগের ছোট্ট সন্তান মায়ের কাছে দুধ চায়। এরপর একইসঙ্গে তাঁর স্বামীও দুধ ভর্তি গ্লাস আনতে বলেন মহিলাকে। তবে স্বামীকে দুধের গ্লাস দেওয়ার আগে, তা নিজের সন্তানকে দেন মহিলা। এরপরই তাঁর স্বামী যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন। মুহূর্তে ক্ষভের বেশ স্ত্রীকে পরিবারের সকলের সামনে তিনি তিন তলাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে, মহিলার বাড়িক তরফে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য তাঁর শ্বশুরালয়ে আবেদন করা হয়। তবে তাতে সেভাবে আমল দেননি তাঁর স্বামী। এরপরই মহিলার পরিবারের সদস্যরা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেন। মহিলার দাবি, পণের টাকার জন্যই তাঁকে তিন তলাক দেওয়া হয়। তাঁর স্বামী বেকার ছিলেন বলেই দাবি করা হয়েছিল টাকার। যার ফলে তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।