প্রয়াত হলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং (৮৯)। মাসদেড়েক ধরে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। শনিবার রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাতের দিকে টুইটারে মোদী লেখেন, 'আমি যে কতটা শোকস্তব্ধ, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কল্যাণ সিংজি..রাষ্ট্রনায়ক, বর্ষীয়ান প্রশাসক, তৃণমূল স্তরের নেতা। উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে উনি অভাবনীয় অবদান রেখে গিয়েছেন।তাঁর ছেলে রাজবীর সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সমবেদনা জানিয়েছি। ওম শান্তি।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'ভারতের সাংস্কৃতিক পুনর্জন্মের প্রতি অবদানের জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম কল্যাণ সিংজির কাছে চির কৃতিত্ব থাকবে। ভারতীয় মূল্যবোধের অভ্যন্তরে তাঁর শিকড় ছিল এবং কয়েক শতক পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধ করতেন তিনি।'
শুধু মোদী নন, কল্যাণ সিংয়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ রাজনীতিবিদরা। সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সসের অধিকর্তা রাধাকৃষ্ণ ধীমান জানান, সেপসিস এবং মাল্টি অর্গান ফেলিয়োরের কারণে কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর প্রয়াণের পর উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, রাজ্যজুড়ে তিনদিনের শোক পালন করা হবে। আগামী সোমবার (২৩ অগস্ট) গঙ্গার তীরে নারোরাতে সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য। সেদিন ছুটি থাকবে। আপাতত মরদেহ কল্যাণ সিংয়ের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর বিধানসভা এবং বিজেপির সদর দফতরে শায়িত থাকবে। রবিবার সন্ধ্যায় আলিগড়ে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিল কল্যাণ সিং। যিনি উত্তরপ্রদেশের প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন। যে ঘটনা তাঁকে সারাজীবন তাড়া করে বেরিয়েছে।