প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে নিজামুদ্দিন দরগায় গেলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও এস জয়শংকর। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লির বিখ্যাত দরগায় যান দু'দেশের একাধিক আধিকারিকও। নিজামুদ্দিন দরগার তরফে যে ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে বিখ্যাত দরগায় বসে আছেন জয়শংকর, ম্যাক্রোঁ এবং দু'দেশের আধিকারিকরা। খালি পায়ে বসে তাঁদের 'কাওয়ালি' শুনতে দেখা গিয়েছে। দু'জনকেই হাসিমুখে দেখা গিয়েছে ওই ভিডিয়োয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে শুক্রবার রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ নিজামুদ্দিন দরগায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ৩০ মিনিটের বেশি সময় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
রাতে নিজামুদ্দিন দরগায় যাওয়ার আগে শুক্রবার সকালে ভারতের ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। যিনি এবার প্রধান অতিথি ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বসে দিল্লির কর্তব্যপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং ফ্লাইপাস্ট দেখেন। তারপর রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়। সেখানে যান ম্যাক্রোঁ। সন্ধ্য়ায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনাও সারেন। তারপর রাতে দিল্লি থেকে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা দেন ম্যাক্রোঁ।
দু'দিনের সফর শেষে দিল্লি ছাড়ার আগে কিছুটা সময় নিজামুদ্দিন দরগায় কাটিয়ে যান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। যিনি নিজের ভারত সফরের প্রথম দিনটা রাজস্থানে কাটান। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুর বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী, রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মারা। সেখান থেকে আমের ফোর্টে যান ম্যাক্রোঁ। আলাপচারিতা সারেন শিল্পীদের সঙ্গে।
তারইমধ্যে জয়পুরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। জয়পুরের যন্তর মন্তরে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে রোড শো করেন দুই ‘বন্ধু’ রাষ্ট্রনেতা। যান হাওয়া মহলে। যাঁরা ভারত এবং ফ্রান্সের কৌশলগত সম্পর্কের ২৫ তম বর্ষের উদযাপন করেন। ম্যাক্রোঁর হাতে অযোধ্যার রামমন্দিরের রেপ্লিকা তুলে দেন মোদী। ‘চায়ে পে চর্চা’-য় মেতে ওঠেন। মাটির ভাঁড়ে চা খান ম্যাক্রোঁ।
সেখানেই ফরাসি প্রেসিডেন্টকে ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) বোঝান মোদী। সেইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেন। যেখানে সন্ত্রাসবাদ, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর রাতেই দু'জনে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। ভারতীয় বায়ুসেনার পালাম বায়ুঘাঁটিতে অবতরণ করেন। তারপর শুক্রবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দিল্লির কর্তব্যপথে এসে পৌঁছান ম্যাক্রোঁ। যেখানে তাঁকে একেবারে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান মোদী।