ধর্মান্তর করানোর ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্তকে সাত দিনের এটিএস হেফাজতের নির্দেশ দেয় লখনউ আদালত। মঙ্গলবার দুই অভিযুক্ত মুফতি কাজি জাহাঙ্গির আলম কাসমি ও মহম্মদ উমর গৌতমকে তাদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন লখনউ আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক সাগর সিং।
'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনায় এটিএসের জালে মূক ও বধির ব্যক্তি ধরা পড়েছে আবদুল্লা কাদির। কে এই আবদুল্লা কাদির? কী ছিল তার পূর্ব পরিচয়? সে বিষয়ে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলোকপাত করেছেন। কানপুরের বাসিন্দা আদিত্য গুপ্ত থেকে আবদুল্লা হওয়ার ঘটনা স্কুল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। জন্ম থেকে মুক ও বধির আদিত্য বিঠুরের জ্যোতি বধির বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামদাস পাল জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ইন্টার পাস করার পরে স্কুল ছেড়ে দিয়েছিল আদিত্য। তার মা লক্ষ্মী গুপ্তও ওই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ২০১৬ সালে একাদশ শ্রেণির মিড টার্মের পরীক্ষা চলছিল।পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক খেয়াল করেন যে, আদিত্য অনেকক্ষণ ধরে খাতায় কিছু লিখছে না। এর কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে চমকে উঠেন ওই শিক্ষক। দেখেন, আদিত্য পরীক্ষার খাতার প্রতিটি পৃষ্ঠায় শুধু ‘আল্লাহ’ লিখে ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে তার মা'কে জানানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিনিও এব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ছেলে সকাল ৮টা নাগাদ কোথায় বেরিয়ে যেত, আর ফিরত সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ। তবে কোথায় যেত, কার সঙ্গে মিশত কোনওদিনও কাউকে কিছু বলেনি। লক্ষ্মীদেবী শুধু ছেলেকে স্কুলবাসে করে নিয়ে যেতেন আর ফেরার সময়ও সেই একই বাসেই ফিরতেন। প্রধান শিক্ষক আরও জানিয়েছেন, কয়েকজন শিক্ষক তাঁকে জানিয়েছিলেন, রাস্তায় মুসলিম ধর্মস্থান দেখলেই মাথা নীচু করে নিত সে।