কাফ সিরাপ থেকে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ। আর তারপরেই ভারতের বাজারে কাফ সিরাপ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। তবে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন দি মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস সম্পর্কিত স্থায়ী জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি, ডক্টর ওয়াই কে গুপ্তা। শনিবার তিনি বলেন, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার কাফ সিরাপের শুধুমাত্র রফতানি করারই অনুমোদন ছিল। তিনি এটিও যোগ করেন যে, ভারতীয় কাশির সিরাপে 'সেই সম্ভাবনা নেই।'
তিনি বলেন, ভারতীয় জনসাধারণকে এটা বুঝতে হবে যে, এই কাফ সিরাপের কাছে শুধুমাত্র রফতানিরই অনুমোদন ছিল। ভারতে বিক্রি হওয়া কাফ সিরাপগুলির ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা নেই। সংবাদসংস্থা এএনআই এই বিষয়ে টুইট করেছে। আরও পড়ুন : Cough syrup: কাশির সিরাপ নিয়ে হু -এর বার্তার পর বিহারে নিষিদ্ধ ৪ ওষুধ, কড়া পদক্ষেপ মধ্যপ্রদেশে
_1665234291823.jpg)
'এখন ভারতে উত্পাদিত ওষুধগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উন্নত গুণমানের জন্য পরিচিত। এই একটি ঘটনার কারণে ভারতীয় ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ভুল। আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি এই বিষয়ে যথেষ্ট কড়া,' বলেন ডক্টর ওয়াই কে গুপ্তা।
তিনি আরও বলেন যে, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি জুলাই মাসে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এদিকে WHO ২৯ সেপ্টেম্বরে ভারতীয় নিয়ন্ত্রককে এই বিষয়ে জানিয়েছিল। ফলে সরকার এখনও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করতে পারেনি। তিনি জানান, ২৩টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪টিতে বিষাক্ত রাসায়নিক ডাইথাইলিন গ্লাইকোল/ইথিলিন গ্লাইকোল পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, 'এই বিষয়গুলির অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।'
হুয়ের আশঙ্কা, ভারতে তৈরি প্যারাসিটামল সিরাপ থেকে কিডনির ক্ষতির কারণে গত তিন মাসে ৬৬ শিশু প্রাণ হারিয়েছে। শুক্রবার গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চারটি ওষুধ- প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ, এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই কাফ সিরাপগুলি ভারতীয় সংস্থা মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি।