বিমান যে বাতিল হচ্ছে, তা জানান দিতে গ্রাহকের ফোনে বিমান সংস্থার তরফে পাঠানো আগাম মেসেজই কেবল যথেষ্ট নয়, আর তা প্রমাণিত হল বিমান বাতিল সংক্রান্ত এক অভিযোগ ঘিরে। মামলা ছিল গুজরাটের কনজিউমার ফোরামে। আর মামলায় ফোরামের নির্দেশে বিমানের যাত্রীকে টিকিটের দামের ৩ গুণ টাকা দিতে হচ্ছে।
বিমান বাতিল সংক্রান্ত মামলাটি ছিল গো এয়ারের বিমান ঘিরে। অভিযোগ করেছিলেন পীযূষ কালাভানি নামে জনৈক যাত্রী। এই মামলায় নির্দেশ এসেছে গুজরাটের ভদোদরার কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশনের তরফে। মামলায় বিমান পরিষেবা সংস্থা গো এয়ারকে 'রিএমবারসমেন্ট' -র নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গো এয়ার বর্তমানে কার্যকারিতা নেই। বিমান বাতিল সংক্রান্ত মামলায় পীযূষ কালাভানিকে মোট ১.১৭ লাখ টাকা দিতে বিমান পরিষেবা সংস্থাকে বলেছে কমিশন। এই টাকার অঙ্ক ছাড়াও ৩০০০ টাকা জরিমানা মানসিক হেনস্থার জন্য আর ২০০০ টাকা আইনি পদক্ষেপে খরচের জন্য গো এয়ারকে ওই যাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার আসা যাক, আস ঘটনায়। পীযূষ কালাভানির যে বিমানটি বাতিল হয়েছিল তার টিকিটের দাম ছিল ৩৫,১৪০ টাকা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই টিকিট কেটেছিলেন কালাভানি। ৩০ এপ্রিলের টিকিট ছিল। মোট খরচ পড়েছিল ৩৭.৪৪০ টাকা। বিমান ছিল আমেদাবাদ থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত ভায়া দিল্লি। ফেরার কথা ছিল ৬ মে। সেদিনের টিকিটও কাটা হয়। ব৩০ এপ্রিল যাত্রার আগে ২৮ এপ্রিল মোবাইলে কালাভানি মেসেজ পান যে তাঁর দুটি টিকিটই বাতিল হয়েছে। এই মামলায় কমিশন বলছে, বিমান বাতিলের এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীকে টিকিটের টাকা রিফান্ড না করা ও যাত্রীর বিকল্প বিমানে যাত্রার বাড়তি খরচে সহযোগিতা না করা অন্যায্য বাণিজ্যিক পন্থা। এদিকে, টিকিট বাতিল হওয়ায় যদি শ্রীনগরের সফর বাতিল করতেন তাহলে কালাভানির আরও ক্ষতি হত, তা ভেবেই তিনি সফর বাতিল করেননি। ফলে তিনি প্ল্যান মতো শ্রীনগর যান আর ৩ মে জানতে পারেন যে গো এয়ারে তাঁর ফেরার বিমানও বাতিল হচ্ছে। শেষমেশ এয়ার ইন্ডিয়ায় তিনি ১.১৭ লাখ টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। বাড়ি ফেরার পর বাতিল হওয়া বিমানে এই বিপুল অঙ্কের টিকিটের টাকা ফেরত পেতে গো এয়ারকে আর্জি জানান কালাভানি। গো এয়ার টাকা ফেরাতে অস্বীকার করে। এরপর গো এয়ারের বিরুদ্ধে কনজিউমার কমিশনে যান কালাভানি। সেখানেই আসে এই নির্দেশ।