গোয়ায় দুটি জেলা পরিষদই দখল করল কংগ্রেস। সহজেই উত্তর ও দক্ষিণ গোয়ায় জেলা পরিষদ দখল করল গেরুয়া দল। জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে দুই বছর বাদে ভোটে কি হতে চলেছে, সেটাই এই ফল বুঝিয়ে দিল।
মোট ৪৮ আসনের মধ্যে ৩২টি পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে নির্দলরা পেয়েছে সাতটি, কংগ্রেস ৪, এমজিপি ৪ ও এনসিপি একটি আসন। আপ জিতেছে একটি আসন। একজন বিজেপি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতেছেন।
মনোহর পারিকরের পর প্রমোদ সাওয়ান্তকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। কিন্তু এখনও থিতু হতে পারেননি তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে দলের বাইরে ও ভিতরে তিনি সমলোচিত হয়েছেন। এই জয় নিশ্চিত ভাবেই তাঁর হাত শক্ত করবে।
জয়ের পরেই প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন যে বিজেপি ও তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার জন্য গোয়ার মানুষের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। দলের রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাওয়াডে বলেন যে গ্রামীন মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছে। যেভাবে রেলের ডবল ট্র্যাক, কয়লা ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধী ও এনজিওরা সরকারকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিল, এই ফল তাদের মুখে সজোরে থাপ্পড় বলে জানান তিনি।
২০১৫ সালে মাত্র ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। সেখান থেকে অনেকটাই ভালো ফল করেছে তারা। গত বিধানসভা ভোটে বহুজন সমাজের ভোট বিজেপির থেকে সরে যায়। সেটি ফেরত এসেছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চলতি বছরে মার্চ মাসে ভোট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করোনার জন্য পিছিয়ে যায় সেটি। এবছর গতবারের থেকে প্রায় দশ শতাংশ কম ভোট পড়েছে।
বিধানসভা ভোটে ৪০টির মধ্যে ১৩টি আসন পায় বিজেপি। কিন্তু ছোটো দল ও নির্দলদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। তারপর অবশ্য ১২জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যুক্ত হন। বর্তমানে বিজেপির সমর্থনে ২৭জন বিধায়ক আছে। কিছু অঞ্চলে যেখানে বিধায়করা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন, তাও জয় পায়নি গেরুয়া শিবির। সেটা নিশ্চিত ভাবেই একটু চিন্তায় রাখবে গেরুয়া শিবিরকে। অন্যদিকে গোয়ায় কার্যত দল ভেঙে যাওয়ার পর এখনও দল গুছিয়ে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। অনেক প্রচার করেও গোয়া রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারল না আপ।