করোনা টিকাকরণ নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে তোপ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। সোমবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়, ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি সবাইকেই করোনা টিকা দেওয়া হবে। তবে এই ঘোষণার পর কেন্দ্রের কোনও দিক নির্দেশনা না থাকায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী।
এদিন এক টুইট বার্তায় কেন্দ্রকে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী লেখেন, '১৮-৪৫ বছর বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে টিকা নেই। দামের কোনও নিয়ন্ত্রণ না রেখে দালালদের ঢোকানো হচ্ছে। গরিবদের জন্য ভ্যাকসিনের কোনও নিশ্চয়তা নেই। এটা ভারত সরকারের বৈষম্যের কৌশল বিতরণ নয়!'
এদিকে ইতিমধ্যেই করোনার বেড়ে চলা সংক্রমণের আবহে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ। এই পরিস্থিতিতে গত বছরের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ীরা বাড়ি ফেরার তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন। এই আবহে রাহুল গান্ধী দাবি তুলেছেন যাতে পরিযায়ীদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের তাঁদের অ্যাকাউন্টে নগদ টাকা জমা করা উচিত।
টুইট করে রাহুল লিখেছেন, 'পরিযায়ী শ্রমিকরা আবার বাড়ি ফিরছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের এটা দায়িত্ব যে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা। যে সরকার করোনা ছড়ানোর জন্য মানুষকে দায়ী করছে, তারা কি জনস্বার্থে এই পদক্ষেপ করবে?'
উল্লেখ্য, করোনা ঠেকাতে দিল্লিতে শুরু হয়েছে ৬ দিনের লকডাউন। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজধানী না-ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তাতে কাজ হয়নি। গত বছরের স্মৃতির জেরে অনেকেই এখনও আতঙ্কে। তাইদিল্লি ছাড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিভিন্ন রেল ও বাস স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন হাজারে হাজারে পরিযায়ী শ্রমিক। পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আইএসবিটি-সহ আনন্দ বিহারের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে জমা হন প্রায় ৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। রেল স্টেশনের অবস্থাও একই রকম। অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই আবহে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে একাধিক তোপ রাহুলের।