এই নিয়ে লাগাতার চতুর্থ দিন পড়ল সোনার দাম। অনেকটা কমেছে রুপোর দরও। এদিন এমসিএক্স সূচকে, গোল্ড ফিউচার্সের দাম হয়েছে দশ গ্রাম পিছু ৪৮,৮৪৫ যা গত এক মাসের মধ্যে অন্যতম কম। একই ভাবে রুপোর দাম হয়েছে প্রতি কেজিতে ৬৬১৩০ টাকা। গতকাল বাজার বন্ধ ছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য।
এদিন সোনা ও রুপো, উভয়ের দাম কমেছে ০.৬ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে কারণ সবার নজর আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ আর্থিক নীতি ঘোষণা করবে, তার দিকে। তবে খুব বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা, এমনটা আশা করা হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ১৮০০ থেকে ১৮৮৫ ডলারের মধ্যে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এছাড়াও জো বাইডেন অর্থনৈতিক প্যাকেজে ঠিক কী কী বরাদ্দ করেন, সেই দিকেও সবার নজর থাকছে। মার্কিন স্টিমুলাস এনে সোনার দাম কম থাকবেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছুটা বাজারে সংশয় আছে কারণ বাইডেন এখনও নিজের শিল্পনীতি স্পষ্ট করেন নি। অন্যদিকে ভারতে ব্যবসায়ীরা ইমপোর্ট ডিউটির ওপর নজর রাখছে, যে বাজেটে কোনও রদবদল হয় কিনা। সোনার ওপর ১২.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৩ শতাংশ জিডিপি চার্জ করে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে আপাতত অধিকাংশ মানুষ সোনা ধরে রাখতে চাইছেন এই টালটামাটাল অর্থনীতির মধ্যে।