পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই বিরাট উত্তেজনায় এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়েও চলছে নানা জল্পনা। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়েছে, তাতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি শুরু হবে ২৫ জুন। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আয়োজন সারা দেশ জুড়েই করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের এক প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানান। এই সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে যে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে, তাতে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ হতে চলেছে। ওই প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণ অংশ থেকে বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। তাঁরা প্রত্যকে যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পান সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা সেতু অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণ করে যান।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদ্বোধনী জনসভায় প্রায় ৩০০টি বড় ও মাঝারি লঞ্চ আসবে।
বাংলাদেশ নৌ দফতরের এক প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশে বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে এত ব্যাপক জনসভা হয়নি, যেটি ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হতে চলেছে। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ তাকিয়ে থাকবেন ওই জনসভার দিকে।
স্থানীয় নৌ-শ্রমিকরা কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলে, ওই প্রতিনিধি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, দেশের সরকার প্রত্যেক নাগরিকের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেতু হতে চলেছে। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৯.৮৩ কিলোমিটার। সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমের ১৯টি জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে। আগামী ২৫ জুন, উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচল আরম্ভ হবে। অদূর ভবিষ্যতে রেল চলাচলও শুরু হবে।